#তাকদীর_বনাম দুআ।
আপনি তখন মায়ের গর্ভে। ১২০ তম দিনে আপনার জন্য চারটি বিষয় নির্ধারিত হয়ে যায়।
১।আপনি কতটা সুখী বা দুখী হবেন।
২। আপনার ঠিকানা জান্নাত না জাহান্নাম।
৩। আপনি জীবনে কী করবেন।
৪। রিযিকের কী হবে।
আবার কিছু নির্ধারিত হয় রমজানের শেষ দশকে; কদরের রাতে। আর তা আগামী এক বছরের জন্য।
১। কারা জন্ম গ্রহণ করবে।
২। কারা মৃতু্বরণ করবে।
৩। কোথায় কোন বিপদে আপতিত হবেন।
৪। রিজিক বন্টন হবে কীভাবে কোথায়।
যখন আল্লাহ তায়ালা কোন বিষয় ফায়সালা নিয়েছেন। কার সাধ্য তা টলাবার?
সুতরাং শান্ত হোন। তাকদীর বিষয়টা হৃদয়ে গেঁথে নিন; তবেই পাবেন সকল কিছুতে শান্তির পরশ। দুর্গন্দ্ধময় দিনেও সুগন্ধির ছোঁয়া পাবেন।
হয়তো আপনার পায়ের নিচের মাটি কেঁপে উঠবে; কিন্ত অন্তর থাকবে অবিচল।
রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, رفعت الاقلام وخفت الصحف
"কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। আর কাগজ শুকিয়ে গেছে।" (তিরিমিযি- ২৫১৮)
আপনার জীবনে যা কিছু ঘটছে তা পূর্ব নির্ধারিত। আপনার জীবনে করার মত কিছু ই নেই। কেবল একটা জিনিসই আছে, আর তা হলো দুআ।
রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি বলেন,
,الدعاءهو العبادة
"দুআই ইবাদাত" আবু দাউদ-১৪৭৪
রসুল সঃ আরো বলেন,
"আল্লাহ তাকদিরে যে বিপদ লিখে রেখেছেন, দুআ কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তার মুখোমুখি হয়ে কুস্তি লড়তে থাকে।"-আলবানি-৭৭৩৯
তাই চলুন!
এই মহা সংকটে বেশি বেশি দুআ করি। যদি আজ তার ফল না পাই, তা হয়তো তুলা রইবে প্রতিদান দিবসে।
হতাশ হয়ে যাচ্ছেন? দুআ কবুল হচ্ছে না?
রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি বলেন,
"কোন মুসলমান দুআ করলে আল্লাহ অবশ্যই তাকে তিনটি জিনিসের একটি দিবেন,
আল্লাহ হয়তো শীঘই দুআ কবুল করবেন, অথবা বিচার দিবসে প্রতিদান দিবেন, অথবা দুআ পরিমাণ ক্ষতি থেকে রক্ষা করবেন।" (আহমদ)
তবে আর দেরি কেন?
জীবনে যা চাওয়া পাওয়া আছে তা হোক না শুধু প্রভুর ধারে। আজ না পাই পাবো তো পরপারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks