বছরে মোট পাঁচ দিন রোজা রাখা নিষিদ্ধ
বছরে মোট পাঁচ দিন রোজা রাখা নিষিদ্ধ। সেগুলো হলো: দুই ঈদের দিন এবং ঈদুল আজহার পরের তিন দিন। ঈদুল আজহার পরের তিন দিনকে বলা হয় ‘আইয়ামুত তাশরিক’ (অর্থ: মাংস রোদে শুকানোর দিনসমূহ)। এই তিন দিন আরবরা তাদের মাংস রোদে শুকাতো। এই দিনগুলোতে রোজা না রেখে পানাহার করা এবং আল্লাহকে স্মরণ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
.
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তাশরিকের দিনগুলো পানাহারের দিন।’’ [মুসলিম, আস-সহিহ: ১১৪১]
.
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, “তোমরা এই দিনগুলোতে রোজা রেখো না। কেননা, এগুলো পানাহার এবং আল্লাহকে স্মরণ করার দিন।” [আহমাদ, আল-মুসনাদ: ১০২৮৬; ত্বহাবি, শারহু মা‘আনিল আসার: ২/২৪৪; হাদিসটি সহিহ]
.
অতএব, জিলহজ মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ (আইয়ামুত তাশরিকে) রোজা রাখা যাবে না। তাহলে, যারা প্রতি মাসে আইয়ামে বিযের (প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) তিনটি সুন্নাত রোজা রাখেন, তারা কী করবেন? কারণ, জিলহজের ১৩ তারিখ তো রোজা রাখা নিষিদ্ধ!
.
উত্তর হলো: তারা জিলহজের ১৪ ও ১৫ তারিখ (২৫ ও ২৬ জুলাই) রোজা রাখবেন এবং বাকি আরেকটি রোজা মাসের যেকোনো দিন রাখবেন। তাহলেই যথেষ্ট হবে।
a

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks