সন্তান চাই করনীয় কি।
ধরুন আপনার কোনো সন্তান নেই । আপনার স্বামীর বন্ধু অনেক বড় ডাক্তার তার কাছে গেলেই আপনি মা হতে পারবেন, আপনি কি আপনার স্বামীকে একবারও বলবেন না তার সেই বন্ধুর কাছে আপনাকে নিয়ে যেতে? নূন্যতম মন খারাপও কি করবেন না এটা ভেবে যে আপনার সন্তান কেন নেই! নাকি সন্তান থাকা না থাকাতে আপনার এবং আপনার স্বামীর কোনো যায় আসে না? আপনারা আল্লাহর প্রতিটা ডিসিশনে সন্তুষ্ট?
গল্পটা আয়শা (রা:) এর। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় তার কোনো সন্তান ছিলো না, অথচ তার স্বামী মানুষ্যকুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মানব, আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় সৃষ্টি, আল্লাহর বন্ধু হযরত মুহাম্মদ (সা:)! মুহাম্মদ (সা:) যদি একবার আল্লাহর কাছে আয়শার ঘরে সন্তান চাইতেন আল্লাহ্ কি তাকে ফিরিয়ে দিতেন? স্বামীর এই ক্ষমতা সম্পর্কে আয়শা (রা:) অধিক অবগত ছিলেন অথচ কোনো হাদীসে এই বিষয়ে তার কোনো চাহিদার হদিস পাওয়া যায় না!
এমনকি কোথাও তিনি সন্তানহীনতা নিয়ে অভিযোগ করেননি। অভিযোগ তো দূরের কথা সন্তান চেয়ে কোনো দোয়া করেছেন এমন কোনো হাদীসও খুঁজলে মেলেনা! এটা নিয়ে ছিলো না মুহাম্মদ ( সা:) এর মনেও কোনো দুঃখ! এখনকার বিয়েতে সন্তান থাকাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে! অনেক বিয়ে টিকে আছে শুধু সন্তানের দিকে চেয়ে, অনেক ভয়ংকর ভালোবাসার বিয়েও ভেঙে যায় সন্তানের অভাবে! সন্তানকে এতো বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় যে অনেকে বিয়ে করেই শুধুমাত্র সন্তান জন্মদানের জন্য!! আয়শার কোলে কোনো সন্তান ছিলো না এই কারণে মুহাম্মদ ( সা:) ও তার মাঝের ভালোবাসা এক ফোঁটাও কমেনি,
আয়শা (রা:) ছিলো তার স্বামীর নিকটে সবচেয়ে প্রিয়। এতো বেশি প্রিয় যে আয়শা (রা:) মুহাম্মদ (সা:) এর জীবিত অন্য কোনো স্ত্রীর প্রতি কখনই জেলাস ফিল করেননি! বয়সের পার্থক্য তাদের দাম্পত্যজীবনকে যেমন কখনই প্রভাবিত করতে পারেনি তেমনি সন্তান থাকা না থাকাও তাদের কাছে অর্থহীন একটা ব্যাপার ছিল! আল্লাহর কাছে চাইলেই তারা হয়তো পেয়ে যেতো কিন্তু আল্লাহ্ যা দেয়নি তা তাদের চাহিদা ছিলো না কোনো কালেও। অনেক দম্পতিই মা বাবা হবার স্বাদ পায়না কিন্তু এই না পাওয়া তারা মেনে নিতে পারে না,
এই নিয়ে আল্লাহর প্রতি তাদের দিন রাত অভিযোগ, অনেকে দেখি আল্লাহর কাছে চাইতে চাইতে ক্লান্ত হয়ে পীরের কাছে যেতে! সন্তানের জন্য কাঁদতে কাঁদতে পাগলপ্রায় হয়ে যায়, স্ত্রী স্বামীর কাছে মূল্যহীন হয়ে যায় । অথচ আমরা সেই জান্নাতে থাকতে চাই যেই জান্নাতে থাকবে হযরত মুহাম্মদ (সা:) ,
আয়শা (রা:) ! কোথায় তারা, কোথায় আমরা! আল্লাহর এতো দয়ার সাগরে থেকেও কত ছোট বিষয়ে আমরা হতাশ হয়ে যাই কিন্তু আল্লাহর ভালোবাসার সামনে কত বড় বিষয়গুলোও তাদের চোখ দেখতে পারে না!
আমরা কি আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হবো না?

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks