এই হাদিসগুলো সম্পর্কে আপনাদের মতামত কী? রেফারেন্স ভিত্তিক মতামত আশা করছি।

এই হাদিসগুলো সম্পর্কে আপনাদের মতামত কী? 

রেফারেন্স ভিত্তিক মতামত আশা করছি।

🛑 ইমাম আব্দুর রাযযাক সানআনি [২১১ হি.) বলেন:

عن داود بن قيس وغيره عن محمد بن يؤشف عن

السائب بن يزيد أن عمر جمع الناس في رمضان على أبي بن

گئب وعلى تميم الداري على إحدى وعشرين ركعة يقرؤن

بالمئين وينصرفون عند فروع الفجر.

দাউদ ইবন কায়স প্রমুখ থেকে, তারা মুহাম্মাদ ইবন

ইউসুফ থেকে, তিনি সায়িব ইবন ইয়াযীদ থেকে বর্ণনা করেন, উমার রা. রমাযানে উবাই ইবন কা'ব ও তামীম দারির ইমামতিতে লােকদেরকে একুশ রাকআতের উপর একত্র করেন । তাঁরা প্রত্যেক রাকআতে শতাধিক আয়াতবিশিষ্ঠ সূরা পড়তেন এবং ফজরের আগমুহূর্তে ফিরে যেতেন। [১]

🛑 ইমাম আবু বাকর জাফর ইবন মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান আল। ফিরইয়াবি [৩০১ হি.] বলেন:

خدا تميم بن المنتصر أخبرنا يزيد بن هارون دتا

ابن أبي ذئب عن ابن ضيق عين السائب بن يزيد قال كاوا

يقومون على عهد عمر بن الخطاب في رمضان شری گفة

ولكن كانوا يقرون بالمائتين في رقة ك كانوا يتوگؤثر على

عصيهم من شدة القيام.

আমাদেরকে তামীম ইবনুল মুনতাসির বলেছেন, আমাদেরকে ইয়াযীদ ইবন হারুন বলেছেন, আমাদেরকে ইবন আবু যি’ব বলেছেন, তিনি ইবন খুযাইফা থেকে, তিনি সায়িব ইবন ইয়াযীদ থেকে, তিনি বলেন, লােকেরা উমার ইবনুল খাত্তাবের যুগে বিশ রাকআত কিয়ামুল লাইল করতেন। তারা প্রত্যেক রাকআতে শতাধিক আয়াতবিশিষ্ট সূরা পড়তেন এবং দীর্ঘ কিয়ামের কারণে লাঠিতে ভর দিতেন। [২]

🛑 ইমাম ইবনে আবী শাইবে বলেন:

تا اب تمير عن عبد الملك عن عطاء قال:

أدرك الناس وهم يصلون ثلاثا وعشرين ركعة بالوثير.

আমাদেরকে ইবন নুমাইর বলেছেন, তিনি আব্দুল মালিক থেকে, তিনি আতা থেকে, তিনি বলেন, আমি লােকদেরকে পেয়েছি, তাঁরা বিতরসহ তেইশ রাকআত সালাত আদায় করতেন। [৩]

🛑 ইমাম কাযি আবু ইউসুফ ইয়াকুব ইবন ইবরাহীম আল

আনসারি [১৮২ হি.] এর কিতাবুল আসারে রয়েছে:

يوسف بن آبي يؤشف عن أبيه عن أبي خير ع

ما عن إبراهيم أن الناس كانوا يؤن خمس

ترویحات في رمضان.

ইউসুফ ইবন আবু ইউসুফ তাঁর পিতা থেকে, তিনি আবু

হানীফা থেকে, তিনি হাম্মাদ থেকে, তিনি ইবরাহীম থেকে বর্ণনা করেন যে, লােকেরা রমাযানে পাঁচ তারবীহা' অর্থাৎ বিশ রাকআত সালাত আদায় করতেন। [৪]

টিকাঃ

[১] আব্দুর রাযযাক সানআনি, আল মুসান্নাফ ৪/২৬০, হাদীস নং-৭৭৩০; ইবন হাজার আসকালানি, ফাতহুল বারি ৪/২৫৩।

[২] আল ফিরইয়াবি, কিতাবুস সিয়াম, পৃষ্ঠা ১৩১, হাদীস-১৭৬।

[৩] ইবনে আবী শাইবা, আল মুসান্নাফ ২/১৬৫, হাদিস: ৭৬৮৮

[৪] আবু ইউসুফ, কিতাবুল আসার, পৃষ্ঠা- ৪১, হাদিস- ২১১