মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০২২

প্রশ্ন:আল্লাহ্ তা'লা আমাদের দুনিয়াতে কেন পাঠিয়েছেন ?







 প্রশ্ন:আল্লাহ্ তা'লা আমাদের দুনিয়াতে কেন  পাঠিয়েছেন ?

উত্তর:আল্লাহ-তা'লা আমাদের সকলকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন পরীক্ষা করার জন্য ।

 🔶 আল্লাহ-তা'লা আমাদের সকলকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন পরীক্ষা করার জন্য ।

🔶"যিনি সৃষ্টি করেছেন জীবন ও মরণ যাতে তোমাদের পরীক্ষা করেন"(সূরা মুলক:২)

🔶 আমরা তো জানি আমাদের সৃষ্টি ও অবস্থান সম্পর্কে, আমরা তৃতীয় আয়ন (there dimensions) এর জীব, তাই আমাদের সামনে-পেছনে,ডানে-বায়ে ও ওপরে-নীচে যাওয়ার সামর্থ আছে । তিনি যদি চাইতেন অন্য কোনো আয়নেও আমাদের অস্তিত্বে আনতে পারতেন ।এক অথবা দুই আয়নে অথবা "০" আয়নে মানে ziro dimension এ! 

🔶 "অথচ তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন নানান স্তর অতিক্রম করিয়ে।"(সূরা নূহ:১৪)

🔶" আল্লাহ ইচ্ছে করলে তাদের শ্রবণ ও দৃষ্টি শক্তি হরণ করতে পারতেন, আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।" (সূরা বাকারা:২০)

🔶 তাহলে আমরা তো আর মানুষ থাকব না বরং অন্য কোনো জীবে পরিবর্তিত হয়ে যাব। 

🔶 এবার প্রশ্ন হলো এক্ষেত্রে আমরা আমাদের কিভাবে খুঁজে পাবো। বিজ্ঞানের মতে আমরা সকলেই পরমানু দ্বারা অর্থাৎ খুবই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র particals দ্বারা গঠিত । এবং এটি চির বিদ্যমান আর সমস্ত কিছুই ফাঁকা। আর আমদের পরমানু অনুযায়ী আমাদের অস্তিত্ব বর্তমানের চেয়ে কয়েক লক্ষ গুণ ছোট । কিন্তু ঐ যে আগেই বললাম আল্লাহ আমাদের সকলকে পরীক্ষা করার জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন ।

🔶 যখন আমরা কাউকে পরীক্ষা করি তখন বিশেষ কোনো বিষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে থাকি আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই পরীক্ষা নিয়ে থাকি । এখানে জানার বিষয় হচ্ছে আল্লাহ আমাদের কোন বিষয়ে পরীক্ষা নিচ্ছেন?

🔶 অবশ্যই তিনি আমাদের যা কিছু দিয়েছেন তার থেকেই পরীক্ষা নেবেন । এখানে বলতে গেলে নাস্তিকরা বলবে "তোমরাই তো বলো সবই আল্লাহই দিয়েছেন" হ্যাঁ একদমই তাই, কিন্তু ঐ যে বললাম বিশেষ গুরুত্ব আরোপের কথা । দয়াবান আল্লাহ তাঁর কোন নিয়ামত টির জন্য আমাদের বার বার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন?

🔶 সেই নিয়ামত টি হচ্ছে "জ্ঞান "

🔶 যারা "জ্ঞানে" সুগভীর তারা বলে যে  আমরা  তার ওপর ঈমান এনেছি (সূরা আল ইমরান:৭)

🔶"তার কি অদৃশ্যের "জ্ঞান" আছে যার কারণে সে দেখতে পায়?"(সূরা নাজম:৩৫)"

🔶 "তাদের "জ্ঞানের "দৌড় ঐ পর্যন্তই। তোমার প্রতিপালক খুব ভাল করেই জানেন কে তার পথ থেকে গুমরাহ হয়ে গেছে, আর তিনি ভালই জানেন কে সঠিক পথে আছে।"(সূরা নাজম:৩০)"

🔶 " যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, আল্লাহ তার "অন্তরকে" সঠিক পথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ সকল বিষয়ের সর্বশ্রেষ্ঠ "জ্ঞানী"।"(৬৪:১১)"

🔶 মূলত "জ্ঞান-বান ব্যক্তি" ছাড়া কেউই নাসিহাত গ্রহণ করে না। "(সূরা আল ইমরান:৭)"

🔶এইসব আয়াত গুলো থেকে এটা তো প্রমানিত হয়ে গেল আমারা আমাদের জ্ঞানকে উম্মোচন করব আর এটিই আমাদের পরীক্ষা। 

🔶এবার প্রশ্ন হলো যে এই জ্ঞান আমরা কি ভাবে পাবো!

🔶উত্তর খুবই সহজ:

🔶আর তোমাদেরকে দিয়েছেন "শ্রবণেন্দ্রীয়, দর্শনেন্দ্রিয় ও অন্তঃকরণ;" কৃতজ্ঞতা তোমরা সামান্যই প্রকাশ কর।"(সূরা সিজদাহ:৯)"

🔶 "আল্লাহ তাদের "অন্তর ও কানের" উপর মোহর করে দিয়েছেন, আর তাদের "চোখে" আছে আবরণ আর তাদের জন্য আছে মহা শাস্তি।"(সূরা বাকারা:৭)"

🔶তিনি তোমাদেরকে "শোনার শক্তি, দেখার শক্তি আর অন্তর" দান করেছেন যাতে তোমরা শোকর আদায় করতে পার।"(সূরা নাহলে:৭৮)"

🔶এই ধরনের আরো  আয়াতসমূহ  আমরা কোরআনুল করিমে পেয়ে যাব যেখানে আল্লাহ-তা'লা আমাদের চক্ষু,কর্ণ ও অন্তর দানের কথা বলেছেন এবং সঠিক ব্যবহারেই আমরা জ্ঞান অর্থাৎ হিদায়াত পেয়ে যাব যা পাওয়ার পর আমরা জাহান্নামে যাব না বরং চিরস্থায়ী জান্নাতি হয়ে যাব ।

🔶 ইনশা আল্লাহ, 🌹🌹🌹

আশা করি বুঝতে পেরেছেন দয়াময় আল্লাহ আমাদের কেন দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।














মসজিদ ভেঙ্গে কি প্রমান করতে চাচ্ছেন?






মসজিদ ভেঙ্গে কি প্রমান করতে চাচ্ছেন?নামাজ পড়তে বাধা দিচ্ছেন কেন? কয়টা মসজিদ গড়েছেন? কেমন মুসলিম আপনি? লজ্জা করে না আপনার? আপনি আপনার মসজিদের কমিটি ভাঙ্গতে পারেন না? সুদ ঘুষ শিরিক বিদাত জর্দা বিড়ি খোর বে নামাজি হয় মসজিদ কমিটি"!! আপনি এসেছেন আল্লাহর ঘর মসজিদ ভাঙ্গতে!??

এরকম হাজার প্রশ্ন জেগে উঠেছে মনের কোনায়। 

আপনার সামনে না কত বড় বড় মাজার শিরকের আস্তানা গড়ে উঠেছে! কই কয়টা ভেঙে দিয়েছেন? কত স্টলে সিনেমা গান চলে, কত  নামধারী মুসলিম পরিবারে উচ্চ আওয়াজে গান বাজনা বাজাচ্ছে!  কোথায় ছিলেন তখন আপনি? কত যুবক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে তখন কোথায় ছিল আপনার বিবেক? আপনার চোখের সামনে কত অবৈধ ঘটনা ঘটে যাচ্ছে  তখন আপনি আপনারা থাকেন কোথায়? াপনার বোন মেয়ে রাস্তা দিয়ে চলে পর্দআ করে কি না সেটা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই।আপনার শুধু মাথা ব্যথা আহলে হাদিস নামের মসজিদ কেন বানালো? কেন বুকের উপর হাত বাধলো? কেন জোড়ে আমিন বললো? কেন বেতর সলাত তিন বা এক রাকাত পড়লো, কেন তারাবি ৮ রাকাত পড়লো? কেন ফরয সলাত  পড়ে সম্মিলিত  মোনাজাত করলো না? কেন হালুয়া রুটি বানালো না, তাবিজ কেন পড়ে না বা তাবিজের পক্ষে কথা  বলে না??? মাজার বা পীর মানে না কেন? জিহাদের নামে রাজপথ কেন গরম করে না?  এ রকম অনেক প্রশ্ন ছুড়ে দিতে মন চাচ্ছে। 

 আপনি পারলে দাওয়াতি কাজ করে বুঝিয়ে দিন ভুল ধরিয়ে দিন,  তা না করে আসেন গায়ের জোড় মুখের জোড়ের শক্তি দেখাতে। মনে রাখবেন আপনার কথায় বাপ দাদার কথায় ইসলাম চলে না। ইসলাম চলে আল্লাহ ও রসূল সঃ এর কথায়। 

 

আপনি সাধারনত সামান্য এক টুকরো জমির জন্য নানা কাগজ দেখেন,  রেকড দেখেন খাজনা পরিশোধ দেখেন খারিজ দেখেন,  নানা উপায় প্রমান দেখেন মাছ খেতে হলে কাটা বেছে বেছে খান। আর ধর্ম মানতে এসে অন্ধ অনুসরন করেন! আপনার লজ্জা হয় না? আপনি কি পাগল নাকি ধর্মকে পাগল পেয়েছেন? আমি  মুসলিম এটাই আমার বড় পরিচয় আমাদের আদর্শ  একজন  মুহাম্মদ (সঃ)। 

অথচ আজ আমরা নানা মত নানা সুফিবাদে মিশে গেছি।শিয়া আকিদা খারেজি রাফেজি মুতাজিলা, পীর ব্যক্তি মূর্তিপূজা, ইহুদী খ্রিস্টান ইত্যাদি  রিতিনীতিতে মিশে গেছি।

আপনাকে প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে পারবেন না।কারন আপনার আকিদায় সমস্যা আছে। মনে রাখবেন বিদাত যুক্ত আমল করে কোন দিন সঠিক গন্তব্যে পৌছাতএ পারবেন না। মনকে বড় করুন, দ্বীনের পথে নিজেকে দাওয়াতি কাজে নিয়োজিত রাখুন।আচরন সংযত করুন। গালিগালাজ করে কোন সমাধান হতে পারে না।এসব রিতি বাদ দিন। নাকি লুঙ্গী খুলে পাগড়ি বাধবেন? 

শুনুন সব সময় ধর্মকে হঠকারিতা করে মানবেন না, 

ধর্ম মানতে হলে অবশ্যই যাচাই করতে হবে।  আপনি  আলেম না আপনার সন্তান কে বানান। আজ অধিকাংশ মসজিদের অবস্থা দেখলে বোঝা যায় আপনি কেমন মুসলিম? অধিকাংশ পরিবারে আজ ইসলামি চর্চা হয় না। আপনি না মুসলিম?  তো আপনার সন্তান কেন পবিত্র কুরআন মাজিদ পড়তে পারে না, কেন আপনার এলাকায় কুরআন শিক্ষার প্রতি অবহেলা করা হয়? ঠিকই তো আপনার সন্তান স্মার্ট ফোন চালায় ঠিকই তো আপনার সন্তান গানবাজনা নাচ সহ হারাম কাজে লিপ্ত থাকে৷ ফজর বেলায় কি আপনার সন্তানকে মসজিদে পাঠান? আপনি না জাতি গড়ার কারিগড়,  আসুন নিজের ভুলের সংশোধন করি,অন্যকে দাওয়াত দেই। অনেক প্রশ্ন করলাম,  কারন তর্কে জেতার জন্য নয়, আপনার কষ্ট লাগতে পারে কিছু মনে নিয়েন না। আসলে বার বার মসজিদ ভাঙ্গার কথা শুনলে খু্বই কষ্ট লাগে। আপনি মুসলিম আমার দ্বীনি ভাই, তাই বলবো হিংসা বা ক্ষমতা দেখাবেন না।মৃত্যু আপনাকে ঠেকিয়ে দি্বে তখন কোন উপায় থাকবে না। যে দেহের  এতো যত্ন নিচ্ছেন তা কিন্তু একদিন আপনার বিপক্ষে পক্ষে সাক্ষী দিবে তখন কিছুই করার ক্ষমতা থাকবে না। তাই ক্ষমতা দেথাবেন না। নবী রসূলগনের পথের কথা একবার ভাবুন। তাদের ইতিহাস আপনার আমার জন্য যথেষ্ট। 

 পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই, ভুল হলে কষ্ট  পেলে ক্ষমা করবেন।আর  সত্য যাচাই করে ধর্ম মানার চেষ্টা করবেন। জান্নাত অতো সহজ নয় যে চাইলে পাওয়া যায়!  

 সময়ের স্রোতে গা না ভাসিয়ে,  নিজের বর্তমান সময়কে কাজে লাগান। আল্লাহ আমাদের সকলকে ক্ষমা করুন এবং হেদায়েত দান করুন, পবিত্র কুরআন ও হাদিসের পথে চলার তৌফিক দান করুন। 

আমিন।







কোন মন্তব্য নেই: