পৃষ্ঠাসমূহ

পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২

চিনতে পারছেন অসংখ্য উপকারী গাছ হাতীশূড়////

 





চিনতে পারছেন অসংখ্য উপকারী গাছ হাতীশূড়


পুরনো দালান ঘেঁষে কিংবা রাস্তার ধারে অন্য আগাছার মাঝে এ গাছটি দেখা যায়। এ গাছের বাঁকানো পুষ্পদণ্ডে ফুটে থাকে সাদা সাদা ফুল। গজদন্ত অর্থাৎ হাতির দাঁতের মতো শুভ্র এই ফুল।গাছটি আগাছার সঙ্গে এখানে সেখানে জন্মায় তাই সাধারণের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। মোটামুটি এক দেড় ফুট লম্বা হয়। গাছের কাণ্ড ফাঁপা, নরম। সারা দেহে ছোট ছোট রোম আছে। গাছের ওপরের দিকের কাণ্ড চৌকো, নিচের দিকে অপেক্ষাকৃত গোলাকার। সংস্কৃত নাম শ্রীহস্তিনী।

বৈজ্ঞানিক নামঃ Heliotropium indicum (হেলিওট্রোপিয়াম ইনডিকাম) এবং ইংরেজি নাম 'Indian heliotrope।


হাতিশুর গাছের উপকারিতাঃ


(১)দেহে ছত্রাকজনিত সংক্রমণে লাল চাকা চাকা দাগ নিরাময়ে এর পাতার রস ব্যবহার করা হয়।


(২)ফোলায়  পাতা বেঁটে অল্প গরম করে ফোলায় লাগালে, ফোলা কমে যায়।


(৩) জ্বর ও কাশিতে এই গাছের মূল জলের সঙ্গে ফুটিয়ে ক্বাথও তৈরি করে ব্যবহার করা হয়।


(৪) বিষাক্ত পোকার কামড়ে – পাতার রস লাগালে জ্বালা এবং ফোলা কমে যায়।


(৫) আঘাতজনিত ফোলায় – পাতা বেঁটে অল্প গরম করে লাগালে, ফোলা এবং ব্যাথা কমে যায়।


(৬)যাদের সর্দি লাগবে তারা এই হাতিশুড়ের পাতা সেচে দুই চামচ পরিমাণ রস খেতে পারেন এতে করে আপনার সর্দি ভাল হবে।


(৭)টাইফয়েড জ্বরে: টাইফয়েড রোগে এই উদ্ভিদটির পাতা হতে পারে কার্যকরী সমাধান। এর পাতার রস হালকা গরম করে পানিতে মিশিয়ে খেলে  টাইফয়েড ভাল হয়।


(৮) একজিমা:একজিমা থেকে মুক্তি পেতে হাতিশুড় গাছের পাতা থেতলে আক্রান্ত স্থানে দিন।এভাবে কিছুদিন ব্যবহারে একজিমা সেরে যাবে।


(৯)রিউম্যাটিক বাতে: রেড়ির তেলের সঙ্গে পাতার রস মিশিয়ে পাক করে গাঁটে লাগাতে হয়।


(১০) দাঁতের মাড়ি ফোলায়:দাঁতের মাড়ি ফোলা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি হাতিশুরের মূল চিবালে মাড়ি ফোলা কমে যায়।


১১)কাটা ছেঁড়া: কাটা ছেঁড়া স্থানে হাতিশুরের পাতা থেতলে রস দিতে হবে এতে কাটা ছেঁড়া ঘুচে যাবে।


(১২)ব্রন: ব্রন হলে বা এর দাগ হয়ে গেলে হাতিশুঁড় গাছের পাতা ও তার কচি ডাল থেঁতো করে দুপুরে গোসল করতে যাবার ১ঘন্টা আগে ব্রণের ওপর প্রলেপ দিলে ব্রণ সারে এবং নতুন করে আর ব্রণ হয় না।


(১৪)ফ্যারিঞ্জাইটিস রোগে – পাতার রস অল্প গরম জলে মিশিয়ে গার্গল করা।
















শিশুকে হোম মেইড সেরেলাক কেনো খাওয়াবেনঃ


সেরেলাক স্টেজ ঃ২

বয়সসীমাঃ১২ মাস থেকে যেকোনো বয়সের বাচ্চাদের 


      🔸এতে আছে কয়েক প্রকারের বাদাম  যা আপনার শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশ এবং ওজন ও উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। 


      🔸 এটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশে তৈরি হয় এবং এতে বাড়তি কোনো ফ্লেভার দেওয়া হয় না তাই এটি শিশুদের জন্য নিরাপদ। 


        🔸 এটি শিশুদের স্ট্যমিনা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 


         🔸 এতে আছে শরীরে প্রয়োজনীয় প্রায় সবধরনের পুষ্টি উপাদান। যেমন- খনিজ পদার্থ, আশ,ফাইবার, প্রোটিন,ক্যোরোটিন,ভিটামিন - এ,বি,সি,ডি,অ্যান্টি  অক্সিডেন্ট,ক্যলসিয়াম,সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফ্যট এবং প্রচুর পরিমানে ক্যালরি যা একটি শিশুর শরীরের সব ধরনের পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করে। 


🍀 দোকান থেকে কিনা সেরেলাক এ স্বাদ ও ফ্লেভার বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়,যা শিশুর জন্য ক্ষতিকর।দোকানের কেনা সেরেলাকের মধ্যে দীর্ঘ  দিন  ভালো থাকার জন্য প্রিজারভেটিভ ও কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। দ্রুত মোটা হওয়ার জন্য অ্যালকোহল ব্যবহার করা হয় যা শিশুর শরীরে উপকারের চেয়ে ক্ষতি করে বেশি।🍀


   ♦️ তাই শিশুর সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে হোম মেইড সেরেলাক  খাওয়াতে পারেন। ♦️







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks