পৃষ্ঠাসমূহ

পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

❤️💚❤️ সূরা মূলক এর শক্তি। ❤️💚❤️

 






সূরা মূলক ১-থেকে- ৩০ আয়াত🍁🍁


       ❤️💚❤️ সূরা মূলক এর শক্তি। ❤️💚❤️

মনে করুন আপনি মা-রা গেছেন। আপনার জানা-জার নামাজ শেষ। আপনাকে কব-রে রাখা হলো। আপনি অপেক্ষা করছেন মুনকার নাকির ফেরেশতার জন্য। কিন্তু তারা আসছে না কেন। এদিকে জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া শুরু করেছেন আপনি। 


একটু পরেই কবরের সাথে জান্নাতের একটি সুড়ঙ্গপথ তৈরি হয়ে গেলো। আপনি ভাবলেন, এ কেমন কথা। প্রশ্ন-উত্তর কই?


তখন আপনার মনে পড়লো- 'প্রতি রাতে সূরা মূলক পাঠ করলে ক-বরে প্রশ্ন উত্তরের ঝামেলা নাই। কবর আজা-বেরও কোনো সুযোগ নাই। অতঃপর রেশমী চাদরের নরম বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে আপনি বললেন "আলহামদুলিল্লাহ।"


||তিরমিজি -২৮৯০ এর সহীহ অংশ থেকে||






حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَمْرِو بْنِ مَالِكٍ النُّكْرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ ضَرَبَ بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خِبَاءَهُ عَلَى قَبْرٍ وَهُوَ لاَ يَحْسِبُ أَنَّهُ قَبْرٌ فَإِذَا فِيهِ إِنْسَانٌ يَقْرَأُ سُورَةَ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ حَتَّى خَتَمَهَا فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي ضَرَبْتُ خِبَائِي عَلَى قَبْرٍ وَأَنَا لاَ أَحْسِبُ أَنَّهُ قَبْرٌ فَإِذَا فِيهِ إِنْسَانٌ يَقْرَأُ سُورَةَ تَبَارَكَ الْمُلْكُ حَتَّى خَتَمَهَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ هِيَ الْمَانِعَةُ هِيَ الْمُنْجِيَةُ تُنْجِيهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏


ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেনঃ কোন এক সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এক সাহাবী একটি ক্ববরের উপর তার তাঁবু খাটান। তিনি জানতেন না যে, তা একটি কবর। তিনি হঠাৎ বুঝতে পারেন যে, ক্ববরে একটি লোক সূরা আল-মুলক পাঠ করছে। সে তা পাঠ করে সমাপ্ত করলো। তারপর তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে এসে বললেনঃ হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমি একটি ক্ববরের উপর তাঁবু খাটাই। আমি জানতাম না যে, তা ক্ববর। হঠাৎ বুঝতে পারি যে, একটি লোক সূরা আল-মুলক পাঠ করছে এবং তা সমাপ্ত করেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ সূরাটি প্রতিরোধকারী নাজাত দানকারী। এটা কবরের আযাব হতে তিলাওয়াতকারীকে নাজাত দান করে।


যঈফ, “হিয়া আল-মানি ‘আতু” উহা প্রতিরোধকারী অংশটুকু সহীহ, সহীহাহ্ (১১৪০)।



ফুটনোটঃ

আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি এ সূত্রে হাসান গারীব। এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। হুরাইম ইবনু মিস‘আর-ফুযাইল হতে, তিনি লাইস হতে, তিনি তাঊস (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, এ দু’টি সূরায় (আলিফ লাম মীম তানযীল ও সূরা আল-মুল্‌ক) কুরআনের প্রতিটি সূরার উপর সত্তর গুণ বেশি সাওয়াব আছে। যঈফ, মাক্বতূ‘। 


জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৮৯০

হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস



حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقِيلَ مَا زَالَ نَائِمًا حَتَّى أَصْبَحَ مَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ‏.‏ فَقَالَ ‏ "‏ بَالَ الشَّيْطَانُ فِي أُذُنِهِ ‏"‏‏.‏


‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে এক ব্যক্তির ব্যাপারে আলোচনা করা হল- সকাল বেলা পর্যন্ত সে ঘুমিয়েই কাটিয়েছে, সালাতের জন্য জাগ্রত হয়নি, তখন তিনি (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ) ইরশাদ করলেনঃ শয়তান তার কানে পেশাব করে দিয়েছে।

  


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১১৪৪

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks