ইদানীং অনেক মানুষ চোখ উঠার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য ক্বোরআনি চিকিৎসা।
'চোখ উঠা' রোগের জন্য রুকইয়াহ
১/জমজমের পানি থাকলে জমজমের পানি প্রথম অপশন না থাকলে বৃষ্টির পানি। উক্ত পানিতে বেশি করে সূরা ফাতিহা , সূরা ক্বাফ ২২ নং আয়াতের শেষাংশ এবং সূরা ইখলাস, ফালাক , নাস পাঠ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অযুর পরে বা নামাজ শেষে চোখে ড্রপ দিবেন দৈনিক পাঁচ বার। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাআলা শিফা দান করবেন।
২/চোখের সমস্যায় সূরা ফাতিহা এর সাথে সুরা ক্বফ ২২নং আয়াতের শেষাংশ বেশ উপকারী।
আয়াতের অংশটি হচ্ছে-
فَكَشَفْنَا عَنْكَ غِطَاءَكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيْدٌ
অনুবাদঃ আমি তোমার থেকে পর্দা সরিয়ে দিয়েছি, তাই আজ তোমার দৃষ্টি হয়েছে প্রখর। (সূরা ক্বফ ২২)
রুকইয়াহ করার নিয়ম হচ্ছে ---
নামাজ শেষ করার পর সূরা ফাতিহা এবং এই আয়াতটি পড়ুন, এরপর মুখের কাছে এক হাত নিয়ে ফুঁ দিন, যেন ফুঁ চোখে লাগে। অথবা আঙ্গুলের মাথায় ফু দিয়ে চোখ মুছে নিন। এভাবে প্রতি নামাজের পরেই করুন।
* সালাতের পরে করতে বলার কারণ হচ্ছে, ওই সময় দোয়া কবুল হয়। রুকইয়াহ যেহেতু এক প্রকার দোয়া, তাই নামাজ শেষে রুকিয়া করলে উপকার বেশি পাওয়া যায়। এছাড়া অন্য সময়েও আপনি করতে পারেন, কোন সমস্যা নেই।
৩/ কিছু পরামর্শ...
•চোখ উঠলে বারবার চোখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আক্রান্ত চোখে যেন নোংরা পানি, ধুলাবালি, দূষিত বাতাস প্রবেশ না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে হবে। যেহেতু চোখ উঠলে আলোতে যন্ত্রণা হয়, তাই বাইরে বের হলে সানগ্লাস পরুন। এই রোগে আক্রান্ত হলে নিজের ব্যবহৃত চশমা, রুমাল, তোয়ালে, কাপড়চোপড় সব আলাদা রাখা উচিত।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থতার নেয়ামত দান করুন আমীন।


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks