যেই চোখ দিয়ে আল্লাহকে দেখার স্বপ্ন দেখি, সেই চোখ দিয়ে হারাম কিছু দেখা যায়? বলো!”
যেই চোখ দিয়ে আল্লাহকে দেখার স্বপ্ন দেখি, সেই চোখ দিয়ে হারাম কিছু দেখা যায়? বলো!”
উপরের উক্তিটি তারাফুল বইয়ে উল্লিখিত লেখকের বন্ধু সুলাইমের। সে আল্লাহকে দেখার জন্য সবধরনের হারাম থেকে তার চোখকে বাঁচিয়ে রাখছে।
তবে এই বিষয়টা ভেবে দেখেছেন কখনো!
আমরাতো অনবরতই কতশত হারাম জিনিস দেখছি আল্লাহর দেয়া এই চোখ দুটো দিয়ে। রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি মেয়েরা ছেলেদেরকে ও ছেলেরা মেয়েদেরকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত জরিপ করতে করতে যাচ্ছি। ফেইসবুকে মেয়েরা ছেলে ফ্রেন্ড/ছেলেরা মেয়ে ফ্রেন্ড এ পূর্ণ একদম। প্রতিনিয়ত তাদের আপলোড দেয়া পিকচারগুলো নিউজফিডে আসছে সেগুলো দেখছি। হারাম মুভি, গান, সিরিয়াল দেখছি দিনের পর দিন। এগুলোতে কত পুরুষ/মহিলা মানুষ থাকে যারা আমাদের গাইরে মাহরাম তাদের দেখাটাও হারাম আমাদের জন্য। নাটক- সিনেমায় মেয়েরা যেসব ড্রেস পরিধান করে তাতে তাদের শরীরের অনেকাংশই বেরিয়ে থাকে সেটা দেখাও আমার জন্য হারাম৷
জান্নাতী ব্যাক্তিদের জন্য সবথেকে আনন্দের সংবাদ হচ্ছে তারা জান্নাতে তাদের রব্বকে সামনাসামনি দেখতে পারবে।
আল্লাহ কুরআনে বলেছেন- 'সেদিন কিছু চেহারা খুব উজ্জ্বল দেখাবে, তারা তাদের রব্ব-এর দিকে তাকিয়ে থাকবে'। (সূরা কিয়ামাহ: ২২-২৩)
বুখারী ও মুসলিমে হযরত সাঈদ খুদরী এবং হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তারা জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রসুল (স), আমরা কি কিয়ামত এর দিন আমাদের রবকে দেখতে পাবো?
জবাবে নবী (স) বললেন-' যখন মেঘের আড়াল থাকেনা তখন সূর্য ও চাঁদকে দেখতে কি তোমাদের কোন কষ্ট হয়?' সবাই বললো 'না'। তিনি বললেন- তোমরা তোমাদের রব্বকে এরকমই দেখতে পাবে।
এরথেকে বড় সুসংবাদ আমাদের জন্য কি হতে পারে যে আল্লাহকে আমরা না দেখেই বিশ্বাস করেছি, তার ইবাদত করছি, তার আদেশ নিষেধ মেনে চলছি সেই আল্লাহকে, আমাদের একমাত্র স্রষ্টাকে জান্নাতে আমরা সরাসরি দেখতে পারব, সুবহানাল্লাহ!
কিন্তু যদি আমরা এভাবে প্রতিনিয়ত হারাম দেখতেই থাকি তাহলে পূত-পবিত্র রব্বকে দেখার আশা কীভাবে করি এই অপবিত্র চোখে
তাই মহান আল্লাহকে দেখার জন্য হলেও আমাদের এই চোখকে, চোখের দৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মালিক তাওফিক দিক আমাদের সবাইকে।




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন