পৃষ্ঠাসমূহ

পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২

জাতীর বিবেক সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন:⁉️





 জাতীর বিবেক সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন:⁉️


‼️নায়ক-নায়িকাদের বিষয়কে যেভাবে আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা প্রচার করে থাকেন, তাতে মনে হয় যে, এরাই দেশের উল্লেখযোগ্য কোনো সম্পদ। অথচ আপনি যদি সুস্থ বিবেক দিয়ে ভাবেন, তাহলে দেখবেন এ দেশের সকল অবনতির পেছনে এদেরই ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। কারণ ছায়াছবি ও নাটকের মাধ্যমে এ জাতির যে মূল্যবান সময় ও সম্পদ নষ্ট হয়, তা কি কখনও ভেবে দেখেছি আমরা? এত দীর্ঘ টাইম নষ্ট করার পর জাতি কি পায় সেখান থেকে?❓ কি উপকার হয় দেশ ও জাতির?❓


‼️তাদের মাধ্যমে কি দেশের মানুষ কোনো ভালো মেসেজ পায়?❓ নিশ্চয় না, বরং কিভাবে ধর্ষণ করতে হয়, চুরি-ডাকাতি করতে হয়, ত্রাস সৃষ্টি করতে হয়, কিভাবে ভোট চুরি করতে হয়, দুর্নীতি করতে হয়, অশ্লীল গালি দিতে হয়, পরের মেয়ে ভাগিয়ে কিভাবে বিয়ে করতে হয়, মদ-জুয়ায় কিভাবে লিপ্ত থাকতে হয় এগুলোসহ সকল ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডগুলো এরা হাতে কলমে শিখিয়ে দেয় জাতিকে।


‼️বছর শেষে দেখি তাদের সিনেমার চরিত্রের সাথে বাস্তব চরিত্রে ঢের ব্যবধান। যারা সমাজ সংস্কারেে স্লোগান দিয়ে মানুষকে সবক শেখায়, ঠিক তাদের সংসার দু'দিন পরপর ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায়। 


‼️আবার তাদের কেউ কেউ তো বলে থাকে, বুদ্ধিমানরা কখনও বিয়ে করে না। কেনই বা করবে?❓ ফ্রি মিক্সিংয়ে বিশ্বাসী এ নষ্ট-নষ্টাদের দেহ তো এমনিই ফ্রী। বিয়ে করলে তো পরের মেয়েকে ভরণ-পোষণের ভার নিতে হয়। ফ্রীতেই যদি দেহ ভোগ করা যায়, তাহলে এত টাকা খরচ করে সংসার করার দরকার কি?❓ ঐ নষ্টারাও এতটুকু বোঝে না যে, মানুষ হিসাবে তাদের শরীরটা অনেক দামি। কুকুরের মত যেখানে সেখানে সেটা বিছিয়ে দিতে নেই।


‼️আবার কেউ কেউ তো গোপনে বিয়ে করে বছরের পর বছর লুকিয়ে ক'দিন পর পর জাতিকে গাভিন বউ দেখিয়ে মজা নেয়। জাতি তাদের এ দৃশ্য দেখে মজা করেই বলে, 'আগে গাভিন, পরে কাবিন'।


‼️আর সবচে দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের সাংবাদিকরা হয় সেই নোংড়াদের ভাড়াটে সংবাদকর্মী। কোন নায়িকা কখন গোসল করলেন, কত সময় বাথরুমে ছিলেন, কখন তার পেটে বাচ্চা আসলো, কে দিলো, কখন প্রসব করবে, বাচ্চা জন্ম দিয়ে সর্ব প্রথম কি কথা বলেছে, কথা বলার সময় মুখে দুর্গন্ধ ছিলো কি না!❗ এই হলো নিউজ! আমাদের কপাল আসলেই পুড়েছে। জাতির বিবেক সাংবাদিকরা যদি এত বিবেকহীন হন, তাহলে বিবেকের প্রশ্ন কার কাছে করবো?⁉️





বৃষ্টি থেমে গেলে ছাতাটাকেও বোঝা মনে হয় ৷ 

কালি ফুরিয়ে গেলে কলমটাও আবর্জনার ঝুড়িতে জমা হয়। বাসি হয়ে গেলে প্রিয়জনের দেয়া ফুলটাও পরদিন ডাস্টবিনে পাওয়া যায়। 

পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম সত্য হলো আপনার উপকারের কথা মানুষ বেশিদিন মনে রাখবে না। জীবনের সবচেয়ে নিদারুণ বাস্তবতা হলো, কার কাছে আপনি কতদিন প্রায়োরিটি পাবেন, সেটা নির্ভর করবে কার জন্য কতদিন কিছু একটা করার সামর্থ্য আছে তার উপর।

এই বাস্তবতা আপনি মানলেও সত্যি, না মানলেও সত্যি। আজ সকালে যে পত্রিকার দাম ১০ টাকা, একদিন পর সে একই পত্রিকার ১ কেজির দাম ১০ টাকা। হাজার টাকা খরচ করে একাডেমিক লাইফে বছরের শুরুতে যে বইগুলো গুরুত্ব দিয়ে কিনেন, বছর শেষে সেই বইগুলোই কেজি মাপে বিক্রি করে দেন।

সময় ফুরিয়ে গেলে এভাবেই মূল্য কমতে থাকে সবার, সবকিছুর। আমরা আপাদমস্তক স্বার্থপর প্রাণী। ভিখারিকে ২ টাকা দেয়ার আগেও মানুষ চিন্তা করে কতটুকু পূণ্য অর্জন হবে। বিনা স্বার্থে কেউ ভিক্ষুককেও ভিক্ষা দেয় না৷ 

এতকিছুর পরও চলুন একটু হেসে কথা বলি।
রাগটাকে কমাই। অহংকারকে কবর দেই। 
যদি সুখী হতে চান তবে প্রত্যাশা কমান। 

আপনি কারো জন্য কিছু করে থাকলে সেটা চিরতরে ভুলে যান। কারণ সেটা যতদিন আপনি মনে রাখবেন ততদিন সেটা আপনাকে অহংকারী করে তুলবে।

 আবার কেউ যদি আপনার জন্য খুব ছোট কিছুও করে থাকে, তবে সেটা আজীবন মনে রাখবেন। কারণ এটা আপনাকে বিনয়ী ও কৃতজ্ঞতাসম্পন্ন একজন ভালো মানুষ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখবে।

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks