■■ স্বামী-স্ত্রীর জন্য অত্যন্ত মূল্যবান কতিপয় উপদেশ!!
●● ০১] আপনি আপনার প্রিয়তমা স্ত্রীকে
একটু বেশি করে সময় গিফট করুন!!
আমরা হয়তো অনেকেই জানি না এবং বুঝি না, আবার অনেকে জানলেও মানি না, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আসলে কি? স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হচ্ছে বহুবিধ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সম্পর্ক হলোঃ▪দুনিয়া-আখিরাতের জীবনসঙ্গী,
▪বন্ধু/সুহৃদ, শুভাকাঙ্খী,▪সাহায্যকারী/উপকারী, ▪সঠিক পথের দিকে আহ্বানকারী,▪উপদেশদানকারী/মন্ত্রণা দানকারী,▪সন্তানের পিতা-মাতা এবং তাদের দেখাশোনা ও পালনকারী,▪দুনিয়া ওআখিরাতের কাজের জন্য সহায়তাকারী▪উত্তম ও আদর্শ অভিভাবক,▪সকল পা|পাচার এবং অ|শ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যম,
▪মহান আল্লাহ তা'আলার অপূর্ব উপহার এবং▪প্রিয় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসাধারণে একটি সূন্নাহ পালনের মাধ্যম।
●● আর যতক্ষণ পর্যন্ত এই সম্পর্কগুলো সম্পর্কে পরিপূর্ণ ভাবে জানা, বোঝা এবং মানা হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত স্বামী -স্ত্রীর সম্পর্ক এবং দাম্পত্য জীবন কখনোই পরিপূর্ণ ও মধুর এবং আনন্দময় হবে না!
■■ রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
-------"আমার কাছে তিনটি জিনিস সবচেয়ে পছন্দের। আর তার হলোঃ▪নামায,▪খুশবু(সুগন্ধি/আতর), এবং
▪নিজের স্ত্রী!" (আল-হাদীস)। সুব'হানাল্লাহ! কত্ত সুন্দর কথা।
■■ স্ত্রীর জন্য স্বামীর দেয়া কিছু সময় হচ্ছে সবচেয়ে বড় একটা গিফট! রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম সারাদিন নবুওয়াতের কঠিন দায়িত্ব পালন করেও তাঁর সকল স্ত্রীগণকে যথাযথ সময় দিতেন। অথচ আমাদের সমাজে --"আজ সারাদিন কাজের বেশ চাপ ছিল, এখন আমি টায়ার্ড! এখন একবারেই কানের কাছে ক্যান ক্যান/ভ্যান ভ্যান করবা না"—দিনশেষে ঘরে ফিরে হয়ত এটাই হয় স্ত্রীর উদ্দেশ্যে আপনার-আমার প্রথম কথা!
●● তারপর হয়ত খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন বা খবরের কাগজটা হাতে নেন, অথবা টিভি ছেড়ে রিমোট নিয়ে বসেন। অথবা ফেসবুকটা লগিন করে বসে যান। বিশ্বাস করুন! এই এমন রুটিন মোটেও হওয়া উচিত নয়! এভাবে নিজেই আপনি নিজ হাতে আপনার পারিবারিক এবং দাম্পত্য জীবনটাকে ধ্বং|স করেছেন বা ধ্বং|স করে দিচ্ছেন!
■▪কেননা, হওয়া উচিত ছিল এমনটা যে, "আপনি ঘরে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে একটু সময়ের জন্য হলেও আপনি আপনার স্ত্রী'র সাথে একাকী বসবেন। টিভির রিমোট হাতে নয় বরং তার হাতটা ধরে সারাদিনের খবরাখবর জিজ্ঞাসা করবেন, তার কোন অভিযোগ থাকলে কিংবা তার কোন প্রয়োজন থাকলে সেগুলো আন্তরিকতা ও মনোযোগের সাথে আগ্রহ ভরে শুনবেন। মোবাইল নয় বরং তাকে একাগ্রতার সময় দেবেন।"
■■ দেশের খবর বা খেলার খবর কিংবা নীল সম্রাজ্যে *ফেসবুক/অনলাইনে)কে কী করল, তার খবর রাখার থেকে আপনার "রব্বাতুল বাইতের"(ঘরের রানী'র) খবর রাখা আপনার জন্য বেশি জরুরী এবং ফরয কাজ।
■▪সে অন্য একটা পরিবার এবং পরিবেশ থেকে একা সম্পূর্ণ নতুন একটা পরিবারে ও পরিবেশে এসেছে। এখানে একমাত্র আপনিই তার সব কিছু। আপনার অনুপস্থিতিতে সে সারাটা দিন আপনার ঘর, আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্য(যদি থাকে) এবং আপনাদের সন্তানকে(যদি থাকে) আগলিয়ে রেখেছেন এবং সে-ই সন্তানকে স্কুলে/মাদ্রাসায়/টিউশনে নিয়ে গিয়েছেন এবং ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন।
■▪আপনার জন্য এবং আপার পরিবারের অন্য সবার জন্য রান্না করেছেন, আপনি এসে শোবেন বলেই বিছানাটা গুছিয়ে রেখেছেন, আপনার এঁটো জামা-কাপড়গুলো সব ধুঁয়েমুছে পরিস্কার করেছেন এবং ঘরসংসারের অন্যান্য সব কাজগুলো করেছেন। এভাবেই আপনার অনেক হক সে আদায় করেছেন, যেগুলোর অনেক কিছুই করতে তিনি বাধ্য নন, বা তার উপর ঐসব কাজ করা ফরয করা হয়নি!
●● সন্তান থাকলেও আপনার স্ত্রীকে আলাদা ভাবে কিছুটা সময় দিন প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু সময়ে। শুধুমাত্র আপনি আর আপনার স্ত্রী ..... আর কেউ নয়!
■■ যদি অভিযোগও করেন, তেল নাই, লবণ নাই, কারেন্ট বিল দেওয়া বাকী হ্যান ত্যান তাও অত্যন্ত মনযোগ সহকারে শুনুন। সুন্দর করে একটা হাসি দিন। এতে সে-ই বরং লজ্জা পাবেন!
------"শুধু আমি বলেই তোমার সাথে সংসার করে গেলাম" এটা আমাদের সবার স্ত্রীদের ডিফল্ট সেটিংস। এসবে কিছু মনে করা যাবে না!
■■ প্রত্যেক মানুষই চান তার অভিযোগ-অভিমান শোনার মত কেউ তার থাকুক৷ আর মানুষ যাকে সব থেকে বেশি ভালবাসেন তার উপরেই বেশি অভিযোগ করেন এবং তার উপরেই বেশি অভিমান দেখান।
■▪আপনিই শুনুন তার সকল অভিযোগ গুলো! সেগুলো আপনার বিপক্ষে গেলেও! কারণ আপনি সু্যোগ না দিলে শ|য়তা|ন তাকে ওয়াসা দিয়ে, হয়ত বাইরের অন্য কারো কাছে অভিযোগগুলো শেয়ার করাবে! এতে আপনার ও তার উভয়েরই ক্ষতি হবে।
■■ এখন কিছু প্রশ্ন রাখতে চাই বিবাহিত সকল ভাইদের উদ্দেশ্যে। আমার প্রশ্নগুলো বোনদের পক্ষ থেকে নয়! বরং একজন সাংসারিক পুরুষ হিসেবে অপর সাংসারিক সকল পুরুষদের উদ্দেশ্যে।
●● আপনি শেষ কবে আপনার স্ত্রীর জন্য উপহার হাতে ঘরে ঢুকেছিলেন তাকে চমকে দেবার জন্য? বা সব শেষ সারপ্রাইজটা কবে দিয়েছেন তাকে?
●● শেষ কবে আপনি আপনার স্ত্রীর জন্য অন্তত কিছু একটা নিয়ে ঘরে ঢুকেছিলেন একদম নিজ থেকেই এবং তার কোন আবদার ছাড়াই? হোক না তা খুবি কম টাকার, একটা চকলেট বা ৫ টাকার মুড়ি ভাজা!
●● শেষ কবে আপনি আপনার প্রিয় স্ত্রীকে নিয়ে শপিং এ গিয়েছেন, যেখানে আপনার স্ত্রী কেনাকাটার জিনিস বাছাই করতে করতে আপনার মতামত চাইছিল আর আপনি তার জবাবে বলছিলেন, "এটা না, ওটা নাও...? কিংবা তোমাকে এটা না ওটাতে বেশি সুন্দর লাগবে!"
●● শেষ কবে আপনি আপনার স্ত্রীকে বিনা আবদারে বাইরে কোথাও ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিলেন? সামর্থ্যের মধ্যেই একটু খানি লং ট্যুরে?
●●আপনি দরিদ্র হলে শেষ কবে কাজ থেকে ফিরে বাসায় গিয়েই তাকে নিয়ে বেরিয়ে ২০ টাকার হলেও চপ-পেয়াজু খেয়েছেন বা ফুচকা খেতে খেতে আড্ডা দিয়েছেন?
●● শেষ কবে আপনি আপনার স্ত্রীকে পাশের দোকান থেকে কিছু একটা কিনে দিয়েছিলেন? অন্তত একটা অতি সাধারণ আইসক্রিম?
●● শেষ কবে তাকে তার পছন্দের একটা ফুল কিনে দিয়েছেন?
●● আপনার স্ত্রী কোন কসমেটিক্স ব্যবহার করেন তার নাম কেউ বলতে পারবেন? তাকে শেষ কবে নিজে থেকে তার পছন্দের কোনো কসমেটিক্স কিনে দিয়েছেন? সে তো আপনার জন্যই সুন্দর ও পরিপাটি থাকতে চান।
●●▪একটু মনে করে বলুন......
■■ আফসোসের সাথে সত্যতা স্বীকার করছি, আমাদের অধিকাংশ ছেলেরই উত্তরগুলো মনে করতে একটু সময় লাগবে! একটু মনে করে দেখতে হবে!
■▪আপনার স্ত্রী আপনার থেকে বেশি কিছু চান না! আপনার প্রতি তার আবদারগুলো হয়ত খুবই সীমিত (অবশ্য এটাও ঠিক যে সব স্ত্রীর আবদারই সীমিত নয়! এখানে শুধু দ্বীনি স্ত্রীদের চাহিদা ফোকাস করছি)!
●● আপনার কাছে আপনার স্ত্রী যা চান তা হলোঃ -------"আপনার একটু সময় এবং তার প্রতি আপনার আর একটু বেশি মনোযোগ।"
■■▪খুব কি বেশি এই চাওয়াটুকু?
■■ আমরা সকল স্বামীরা যেন এতটুকু বুঝি যে,
------"অর্থই জীবনের সব কিছু নয়.....! সারাজীবন অর্থের পেছনে ছুটতে ছুটতেই যেন না কাটিয়ে দেই! অর্থের পেছনে ছুটতে যেয়ে দাম্পত্যজীবন ধ্বং|স কিংবা একঘেয়ে করে না তুলি....! শুধু স্ত্রীকে দো|ষ দেবার বা তার দো|ষ ধরার পূর্বে নিজের দায়িত্বগুলো, দো|ষগুলো একটু যাচাই করে দেখুন। তাহলে পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবন হবে পরিপূর্ণ এবং সুখী ও আনন্দময়।।
●● ০২] স্ত্রীকে মুহাব্বত করার সূন্নাত তরীকা!!!
■ ০১] রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বিবিগণকে খুবই মুহাব্বত করতেন।।
■ ০২] তাদেরকে চুমু দিতেন এবং কখনো কখনো তাঁদের উরুতে মাথা রেখে শুয়ে থাকতেন।।
■ ০৩] হযরত আয়েশা(রাঃ) পাত্রের মুখের যে জায়গায় মুখ দিয়ে পানি পান করতেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামও সেই জায়গায় মুখ দিয়ে পানি পান করতেন।।
■ ০৪] রসূলুল্লাহর সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম হাঁড়ের যে জায়গা থেকে গোস্ত খাওয়া শুরু করতেন হযরত আয়শা (রাঃ)ও হাড়ের ঠিক ঐ জায়গা থেকেই গোস্ত খাওয়া শুরু করতেন।।
■ ০৫] মাঝে মাঝে বিবিদের সাথে বসে তিনি বিভিন্ন ঘটনা, কাহিনী ও আন্যান্য বিষয় আলোচনা করতেন। এক এক বিবি তাঁকে নতুন নতুন কিসসা শুনাতেন। তখন রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে নিজেও কিসসা শুনাতেন। হযরত আয়েশা(রাঃ) বলেনঃ
-------"রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মধ্যে এমনভাবে হাসতেন, কথা বলতেন ও বসে থাকতেন, আমাদের মনেই হতো না যে তিনি একজন মহান পয়গাম্বর।"
■ ০৬] তিনি মাঝে মাঝে আনসারী ছোট ছোট বালিকাদের
খেলাধূলা করার জন্য হযরত আয়েশা(রাঃ)এর কাছে ডেকে আনতেন এবং তিনি তাদের সাথে খেলাধূলায় যোগ দিতেন।।
■ ০৭] একবার রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আয়েশা(রাঃ)এর সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা করে ইচ্ছা করেই হেরে যান। কিছুদিন পর পুনরায় দৌড় হলে হযরত আয়েশা(রাঃ) হেরে যান। অতঃপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ
-------"হে আয়েশা! আজ আমি তোমাকে হারিয়ে দিয়েছি, তুমি আমার সঙ্গে পার নি। এটা প্রথম প্রতিযোগিতায় তুমি জিতে যাওয়ার বদলা।
-----(আবু দাউদ শরীফঃ ২২১৪)
■ ০৮] তিনি বিবিদের ভ|ৎসনা বা তি|রস্কার করতেন না এবং তাঁদের সাথে রু|ক্ষ্ম ভাষায় কথা বলতেন না। বরং মায়া জড়ানো, মন জুড়ানো আকর্ষণীয় কথা এবং ভাবভঙ্গি দিয়ে বুঝিয়ে দিতেন। তাঁদের কোন কথা তাঁর মনের বিপরীত হলে তাদের সে কথা থেকে মনোযোগ ফিরিয়ে অন্য কোনো চিন্তা করতেন।
■ ০৯] আয়েশা(রাঃ) বলেনঃ
-------"সূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত খুশি মনে মুচকি হাসতে হাসতে গৃহে প্রবেশ করতেন।।"
●● ০৩] বিয়ে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি
প্রশ্ন এবং তার জবাব!!
●● প্রশ্নঃ
●▪ক) পুরুষদের ৪টি বিয়ে করা তো জায়েয। কিন্তু সেটা কি সুন্নাত?
●▪খ) কোনো স্ত্রী যদি চায় যে তার স্বামী পরে আর বিয়ে না করুক, সে জন্য কি জোর করে স্বামীকে বলতে পারবে?
●▪গ) কিংবা বিয়ের কাবিনে কি উল্লেখ করা যাবে যে, প্রথম স্ত্রীর মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত আরেক বিয়ে করতে পারবে না?
■■ উত্তরঃ
ক) একাধিক বিয়ে করা সূন্নাত নয়! বরং তা প্রয়োজনের স্বার্থে করার অনুমতি দেয়া হয়েছে কঠিন শর্ত সাপেক্ষে। কারণ দুনিয়ার সকল মানুষের প্রয়োজন বা সমস্যা এক রকম নয়। তাই ইসলামে এর সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর তা হল, ২ অথবা ৩ অথবা ৪। ইসলামের আগে এর কোন সীমা সংখ্যা নির্দিষ্ট করা ছিলো না।
■▪তবে একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে ইসলাম ক|ঠিন শর্ত দিয়েছে। আর তা হল, সকল স্ত্রীর মাঝে সমতা রক্ষা করা। সমতা রক্ষা করতে না পারলে একটির অধিক বিয়ে করতে নিষেধ করা হয়েছে। এ শর্ত পূরণে ব্যর্থ পুরুষদের জন্য আখিরাতে ক|ঠিন ও খারাপ পরিণতির কথা বলা হয়েছে।
🔹 গ) বিয়ের সময় স্ত্রী যদি কাবিন নামায় ‘১ম স্ত্রী মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত স্বামী ২য় বিয়ে করতে পারবে না’ বলে শর্ত জুড়ে দেয় আর স্বামী যদি তাতে সম্মতি দেয় তাহলে এই শর্ত পালন করা স্বামীর জন্য অপরিহার্য। কারণ, হাদীসের আলোকে মুসলিম তার শর্ত পালনে বাধ্য। ওয়াদা রক্ষা না করা মু|নাফি|কীর আলামত।
■▪খ) বিয়ের পূর্বে ‘২য় বিয়ে করা যাবে না’ মর্মে কোন শর্ত না থাকলে স্বামীকে তার প্রয়োজনে ২য় বিয়ে করতে বাধা দেয়া স্ত্রীর চরম অ|ন্যায় এবং স্বামীকে মহান আল্লাহ প্রদত্ব অধিকার পালনে হস্তক্ষেপের শামিল। এ ক্ষেত্রে স্বামী বিপথে গিয়ে অ|ন্যায়-অ|পকর্মে লিপ্ত হলে উভয়েই গু|নাহগার হবে। কারণ বিয়ের অন্যতম উদ্দশ্য হল, নিজেকে পবিত্র রাখা।
■▪আল্লাহু আ'লাম।
●● বিঃদ্রঃ
প্রয়োজনের তাগিদে ক- নম্বর প্রশ্নের পরে গ-নম্বর প্রশ্নের জবাব এবং সব শেষে খ-নম্বর প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে।।
●● ০৪] স্বামী স্ত্রীর জন্য কিছু অত্যন্ত জরুরী
কতিপয় উপদেশ/নছিহত!!
■■ যে ঘরে স্বামী ঐবং স্ত্রী এক সাথে পবিত্র তাহাজ্জুদ এর
নামায পড়বে, সে ঘরে জীবনে কোনো দিন অশান্তি হবে না।
-----(বুখারী ও মুসলিম)
■■ যে স্বামী তার স্ত্রীকে এক লোকমা খাবার খাইয়ে দিবে,
আল্লাহ ঐ স্বামীর ছগীরা গু|নাহগুলো মাফ করে দিবেন এবং যে স্ত্রী তার স্বামীকে এক লোকমা খাবার খাইয়ে দিবে,
আল্লাহ ঐ স্ত্রীর ছগীরা গু|নাহগুলো মাফ করে দিবেন এবং প্রতি লোকমার বিনিময়ে ১,০০০ করে নেকি তাদের উভয়ের আমলনামায় দান করবেন।
-----(মুসলিম শরীফ)
■■ যে ঘরে স্বামী ও স্ত্রী একই প্লেটে খাবার খাবে, যতক্ষণ খাবার খেতে থাকবে ততক্ষণ তাদের আমলনামায় সওয়াব লিখা হয়।
-----(তিরমিজী)
■■ স্বামী এবং স্ত্রী যখন একই বিছানায় শয়ন করে বা বসে অথবা গল্প করে অথবা হাসি খুশি কথা বলে, তখন প্রতিটা মিনিটে এবং সামী স্ত্রীর প্রতিটা কথাতে প্রতিটা মূহুর্তে তাদের আমল নামায় ১০ টা করে নেকি লিখা হয়।
-----(আবু দাউদ, স্বামী-স্ত্রী অধ্যায়)
■■ যে স্ত্রী তার স্বামীকে সকালে ঘুম থেকে জাগিয়ে পবিত্র করে ফজরের সালাতে মসজিদে পাঠিয়ে দেয়, ঐ স্ত্রীর প্রতি স্বামীর অন্তরে আল্লাহর তরফ থেকে ভালোবাসার নুর পয়দা হয়!
-----(বুখারী শরীফ)
■■ যে স্বামী তার স্ত্রীকে একবার চুমু দিবে এবং যে স্ত্রী তার স্বামীকে একবার চুমু দিবে, প্রতিটা চুমুর বিনিময়ে ১০০ টা নেকি তাদের আমলনামায় লিখা হয়।
-----*মুসনাদে আহমাদ, স্বামী স্ত্রী অধ্যায়)
■■ যে স্বামী তার স্ত্রীর নিকট গমন করে এবং শারীরিক মিলনের আগে ২ রাকাত নামায পড়ে নেয় ও রসূল সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাত মতো স্ত্রীর সাথে শারীরিক
মিলন করে, তাদের প্রতিবার মিলনে একটি উট কুরবানি করার সওয়াব তাদের উভয়ের আমল নামায় লেখা হয়।
-----(বায়হাকী, স্বামী স্ত্রী ও পারিবারিক অধ্যায়)
■■ যে স্বামী তার স্ত্রীকে কুরআনের ইলেম শিখাবে এবং নিজেও শিখবে এবং সে অনুযায়ী আমল করবে, আল্লাহ পাক মৃ|ত্যুর পর তাদেরকে জান্নাত দান করবেন।
■■ যে সন্তান তার পিতামাতার ভরণ-পোষন করবে বা সেবা করবে এবং নিজ স্ত্রীর ইজ্জতের হেফাজত করবে তাদের জীবনের সমস্ত গু|নাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
-----(মুসলিম শরীফ)
■■ যে স্ত্রী তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া সেবা করবে, সে স্ত্রীর নিজের শরীরের ওজনের সমান স্বর্ণ সাদকা বা দান করার সওয়াব তার আমলনামায় প্রতিদিন লেখা হয়! আর যে স্বামী তার স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া তার সেবা করবে, সে স্বামীর শরীরের ওজনের সমান স্বর্ণ দান করার সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হয়।
-----(আবু দাউদ শরীফ)
■■ যে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একে অপরের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসি দিবে, তাদের প্রতিটা হাসিতে তাদের আমলনামায় ১০ টা করে নেকি দেওয়া হয়।
-----(আবু দাউদ)
■■ যে স্বামী বাহিরে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী-সন্তানদেরকে সালাম করে বাসা থেকে বের হয় এবং যখন বাহির থেকে এসে আবার সালাম করে অথবা স্বামী বাসায় আসলে বা বাহিরে যাওয়ার সময় স্ত্রী তার স্বামীকে সালাম করে,সে ঘরে কখনো শ|য়তান প্রবেশ করতে পারে না এবং সব সময়ই রহমাত ও বারাকাত নাজিল হতে থাকে, কখনো ঝগড়া বিবাদ হবে না সে ঘরে।
-----(আবু দাউদ ও তিরমিজী)
■■ যখন কোন পুরুষ বিয়ের সময় তার স্ত্রীকে কালেমা পড়ে কবুল বলে দু'আ করলো, তখন সেই সময় হতে মৃ|ত্যু পর্যন্ত তাদের আমলনামায় সওয়াব লিখা হয়।
-----(মুসলিম)।।
●● ইয়া আল্লাহ তা'আলা! আমাদের সবাইকে সঠিক এবং পরিপূর্ণ ভাবে জানার, বোঝার এবং মেনে চলার তাওফীক দান করুন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা, কবুল ও হিফাযত করুন এবং আমাদেরকে সুস্থ্য, সুন্দর, নিরাপদ এবং ভালো রাখুন(আ-মীন)।। ❤️💖❤️
●[[১৭/১২/২০২৪ খৃস্টাব্দ ● ০২/০৯/১৪৩১ বঙ্গাব্দ]]●
●[[১৪/০৬/১৪৪৬ হিজরী ● গ্রুঃ/পোঃ-০০৪]]●
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন