মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদী ও ভাগ্যনির্ণায়ক শর ঘৃণ্য বস্তু শয়তানের কাজ.
(SURA NO 5--AYAT NO...90)
হে বিশ্বাসীগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদী ও ভাগ্যনির্ণায়ক শর ঘৃণ্য বস্তু শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।[১]
[১] এটি মদের ব্যাপারে তৃতীয় নির্দেশ। প্রথম ও দ্বিতীয় নির্দেশে পরিষ্কারভাবে নিষেধ করা হয়নি। কিন্তু এখানে মদ ও তার সাথে জুয়া, মূর্তিপূজার বেদী ও ভাগ্যনির্ণায়ক তীরকে অপবিত্র বা ঘৃণ্য বস্তু ও শয়তানী বিষয় বলে স্পষ্ট ভাষায় তা থেকে দূরে থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ আয়াতে মদ ও জুয়ার অতিরিক্ত অপকারিতা বর্ণনা করে প্রশ্ন করা হয়েছে, তবুও কি তোমরা বিরত হবে না? এ থেকে উদ্দেশ্য ঈমানদারকে পরীক্ষা করা। সুতরাং যাঁরা মু'মিন ছিলেন, তাঁরা আল্লাহর উদ্দেশ্য বুঝে গেলেন এবং তা যে নিশ্চিত হারাম, তা মেনে নিয়ে বললেন, 'আমরা বিরত হলাম, হে আমাদের প্রতিপালক!' (আহমাদ ২/৩৫১) কিন্তু সাম্প্রতিক কালের তথাকথিত কিছু 'চিন্তাবিদ' বলেন যে, 'মদ হারাম কোথায় বলা হয়েছে?!' এমন চিন্তা-বুদ্ধির জন্য তো রোদন করতে হয়। মদকে অপবিত্র বা ঘৃণ্য বস্তু ও শয়তানী বিষয় গণ্য করে তা হতে দূরে থাকতে আদেশ দেওয়া এবং দূরে থাকাকে সফলতার কারণ গণ্য করা ঐ 'মুজতাহিদ'দের নিকট হারাম হওয়ার জন্য (দলীল হিসাবে) যথেষ্ট নয়! যার মতলব হল, আল্লাহর নিকট অপবিত্র বস্তুও বৈধ, শয়তানী কাজও বৈধ। যে জিনিস থেকে আল্লাহ দূরে থাকতে বলেন, সে জিনিসও হালাল। যে কাজ সম্পাদন করাকে অসফলতা ও বর্জন করাকে সফলতার কারণ গণ্য করা হয়, তাও বৈধ! সুতরাং 'ইন্না লিল্লাহি অইন্না ইলাইহি রাজিঊন।'
(SURA NO 5 AYAT NO--91)
শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ ও নামাযে বাধা দিতে চায়![১] অতএব তোমরা কি নিবৃত্ত হবে না?
[১] এ হল মদ ও জুয়ার অতিরিক্ত সামাজিক ও ধর্মীয় অপকারিতা; যা ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না। এই জন্য মদকে বহু মন্দের চাবিকাঠি বা প্রধান পাপকর্ম বলা হয়। আর জুয়াও এমন নিকৃষ্ট খেলা যে, মানুষকে নিমেষে কপর্দকশূন্য করে ফেলে এবং আমীরজাদা ও বনেদী বড়লোককেও নিঃসব গরীব বানিয়ে ছাড়ে। আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন। আমীন।
যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, তারা পূর্বে যা ভক্ষণ করেছে, তার জন্য তাদের কোন পাপ নেই, যদি তারা সাবধান হয় ও বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, অতঃপর সাবধান হয় ও বিশ্বাস করে, পুনরায় সাবধান হয় এবং সৎকর্মশীল হয়। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলগণকে ভালবাসেন। [১]
[১] মদপান হারাম ঘোষিত হওয়ার পরে কতক সাহাবা (রাঃ)-এর মনে এই প্রশ্ন জাগে যে, আমাদের কতক সঙ্গী যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন আর কতক এমনি ইন্তেকাল করেছেন, অথচ তখনও তাঁরা মদ পান করতেন! (তাহলে তাদের কি হবে?) সুতরাং এই আয়াত দ্বারা তাঁদের সেই সংশয় নিরসন করা হয়েছে যে, তাঁদের মৃত্যু ঈমান ও তাকওয়ার উপরেই হয়েছে। কেননা মদপান সেই সময় নিষিদ্ধ (হারাম) করা হয়নি।
MY NAME IS -----SAGAR SK
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন