abdur razzak bin yousuf
শাইখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের সংক্ষিপ্ত জীবনী ।
জন্মঃ শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা চাপাইনবাবগঞ্জের দেবীনগর উপজেলার অধীন মাওলা বক্স হাজীরটলা গ্রামে এক ধার্মিক পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।(abdur razzak bin yousuf)
পড়াশোনাঃ এলাকার মক্তবে শিক্ষা জীবনের হাতে খড়ি হওয়ার পর তিনি নাচল নবাবগঞ্জ মাদরাসা থেকে হাদীসের অন্যতম কিতাব মিশকাত শরীফ পর্যন্ত পড়েন। তারপর উচ্চ শিক্ষার আশায় ভারত গমন করেন এবং উত্তর প্রদেশের দারুল উলুম মউনাথভাঞ্জান থেকে দাওরা হাদীস শেষ করেন। তিনি দুই বার দাওরা হাদীস শেষ করেছেন। তারপর দেশে ফিরে কর্ম জীবনের পাশাপাশি ফাজিল ও কামিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। তিনি হাদীস ও তাফসীর নিয়ে ১ম বিভাগে কামিল পাশ করেন।
কর্ম জীবনঃ জান্নাতপুর, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধায় অবস্থিত আল মারাকাজুল ইসলামীতে শিক্ষকতা করার মাধ্যমে তিনি তার কর্ম জীবনের শুরু করেন। তারপর ১৯৯৮ সাল থেকে অদ্যবধি আল মারকাজুল ইসলামী আস সালাফী নওদাপাড়া রাজশাহীতে একজন মুহাদ্দিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি অত্র মাদরাসায় প্রায় ৫ বছর প্রধান শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালান করেছেন। এই পাঁচ বছরে মাদরাসার উত্তরত্তর উন্নতি সাধনে বিরাট অবদান রেখে যান। এছাড়া তিনি মাসিক আত তাহরিক পত্রিকার ফতোয়া বোর্ডের একজন সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি আল জামিয়াতুস সালাফিয়া নামে একটি প্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করছেন।
(abdur razzak bin yousuf)
দ্বীনের খিদমাতঃ ছাত্র জীবনে থেকেই বক্তব্য দেয়ার অভ্যাস থাকায় দারস দানের পাশাপাশি তিনি বক্তব্যের মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াত দিতে থাকেন । এবং এখন তিনি বাংলা ভাষাভাষী আলেমদের মাঝে একজন সর্বজন বিদিত বক্তা হিসেবে স্বীকৃত। তিনি ডাঃ জাকির নায়েকের পীস টিভিতেও নিয়মিত লেকচার দিয়ে থাকনে। তিনি এ পর্যন্ত সউদী আরব, দুবাই, ভারত ও মালদ্বীপ বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ গ্রহন করেছেন। তার বক্তব্যের আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি হাদীসের আরবী ইবারাত মুখস্থ পড়েন এবং তারপর অনুবাদ করেন । তার প্রায় দুই আড়াই হাজার হাদীস মুখস্থ রয়েছে। একেক বিষয়ের উপর তিনি দীর্ঘ দুই তিন ঘণ্টা বক্তব্য দেন কিন্তু তার মাঝে হাদীস ও হাদীসের অনুবাদ ছাড়া অন্য কিছু স্থান পায়না। ফলত তার প্রতিটি বক্তব্য এক একটি দারসে হাদিস।
লেখনীর ময়দানেও তার অবদান কম নয়, এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ১৫টি বই লিখেছেন।ত্নমধ্যে অন্যতম হচ্ছে আইনে রাসুল দোয়া আধ্যায় ও তাওজীহুল কুরআন। তার হাতে গড়া অনেক ছাত্র এখন দেশব্যাপী দ্বীনের খিদমাত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন যেমন শায়খ মুজাফফর বিন মুহসিন, শায়খ ইমামুদ্দিন বিন আব্দুল বাসির, শায়খ নুরুল ইসলাম, শায়খ আবু তাহের, শায়খ আব্দুল মাতীন মাদানী, শায়খ শরীফুল ইসলাম মাদানী। এছাড়া বাংলার প্রান্তে প্রান্তে হাজার হাজার মানুষ রয়েছে যারা আল হামদুলিল্লাহ তার বক্তব্য শুনে যাবতীয় পাপ কাজ থেকে তওবা করেছেন। এই রকম অসংখ্য তরুন আছে যারা শায়েখের নসীহত শুনে টাখনুর নিচে প্যান্ট পরা ছেড়ে দিয়েছেন, মুখে সুন্নাতী দাড়ী রেখেছেন। উল্লেখ্য যে, শায়খের বক্তব্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি মাজহাব ও মাসলাক নির্বিশেষে আম মুসলমানদের উদ্দেশ্যে নসীহত মূলক বক্তব্য দেন । বিশেষ করে জান্নাত, জাহান্নাম, কিয়মাত, আদর্শ পরিবার, কে বড় ক্ষতি গ্রস্ত ইত্যাদি বিষয়ে তার বক্তব্য মাসলাক মাজহাব নির্বিশেষে সকল মুসলমানের হৃদয়ে নাড়া দিতে সক্ষম। ইসলামী শিক্ষাকে বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তিনি অনেক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন যেমন আল জামিয়াতুস সালাফিয়া, রুপগঞ্জ নারায়নগঞ্জ, আল মাদ্রাসাতুস সালাফিয়া, আটমল, বগুড়া, বীরকুস্টিয়া দারুল হাদীস সালাফিয়া মাদরাসা বগুড়া। এবং অনেক প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে এগিয়ে দিতে সহযোগিতা করেন। যেমন আল মারকাজুল ইসলামী আস সালাফী, রাজশাহী এবং মহিলা সালাফিয়া মাদরাসা, রাজশাহী।
আমরা দুয়া করি আল্লাহ যেন শায়খকে দীর্ঘজীবী করেন ও নেক হায়াত দান করেন। আমীন! ছুম্মা আমীন!
আল্লাহ বলেন, 'নিশ্চয় আসমান ও জমিন সৃষ্টি এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধসম্পন্ন লোকদের জন্য। যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা ও গবেষণা করে আসমান-জমিন সৃষ্টির বিষয়ে (তারা বলে), পরওয়ারদিগার, এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করোনি। সব পবিত্রতা তোমারই, আমাদের তুমি দোজখের শাস্তি থেকে বাঁচাও (সুরা আল ইমরান, ১৯০-১৯১)।
তোমার প্রতি যে কিতাব ওহী করা হয়েছে, তা থেকে তিলাওয়াত কর এবং সালাত কায়েম কর। নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন যা তোমরা কর।
( সূরা আল আনকাবুত,আয়াত ৪৫)তোমার প্রতি যে কিতাব ওহী করা হয়েছে, তা থেকে তিলাওয়াত কর এবং সালাত কায়েম কর। নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন যা তোমরা কর।
( সূরা আল আনকাবুত,আয়াত ৪৫)
abdur razzak bin yousuf
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন