مسجد تشيرمان جمعة: أول مسجد تاريخي في الهند تم بناؤه في عهد النبي
مسجد تشيرمان جمعة: أول مسجد تاريخي في الهند تم بناؤه في عهد النبي
المكتب الرقمي لتقرير البنغال: جاء المسلمون إلى الهند لأول مرة في القرن الثامن بقيادة محمد بن قاسم ولاحقًا في القرن العاشر تحت قيادة السلطان محمود. لكن قبل ذلك بوقت طويل ، في عهد النبي محمد (صلى الله عليه وسلم) ، في النصف الأول من القرن السابع ، دخل الإسلام الساحل الجنوبي الغربي للهند بهدوء شديد ، ممسكًا بأيدي التجار العرب. إنه ليس أول مسجد في الهند فحسب ، بل إنه أيضًا أحد أقدم المساجد في العالم التي تم بناؤها خارج العالم العربي. لنكتشف القصة المذهلة لإنشاء أول مسجد في قلب الهند.
في الجزء الجنوبي الغربي من الهند ، على ساحل بحر العرب ، في ولاية كيرالا الحالية ، كان هناك ملك هندوسي يُدعى تشيرامان بيرومال. يقال إنه رأى ذات يوم في المنام أن القمر في السماء قد انقسم إلى قسمين. الهبيون الجدد المهتمون بالاحتباس الحراري ، سأقول لكم. ظل عقل الملك غير مرتاح.
في ذلك الوقت ، كانت للجزيرة العربية علاقات تجارية جيدة مع الهند. جاء التجار العرب إلى الهند عن طريق البحر للتجارة. بعد وقت قصير من حلم الملك ، وصلت مجموعة من التجار العرب المسلمين إلى الميناء البحري للملك تشيرمان. ثم انتصار الإسلام. ومن هؤلاء التجار بدأ دين الإسلام الجديد ورسوله محمد (صلى الله عليه وسلم) ينتشر في المملكة. ذات مرة وصلت قصة انشقاق القمر بأمر النبي (صلى الله عليه وسلم) إلى آذان الملك.
يدعو الملك التجار ، ويستمع إليهم ، ويدرك أنه في حلمه ألمح إلى ذلك. اعتنق الإسلام وانطلق إلى مكة مع مجموعة من التجار. ويقال أنه التقى هناك بالنبي محمد (صلى الله عليه وسلم) واتخذ اسم "تاج الدين". توفي في عمان في طريق عودته من مكة إلى الهند. وقبل وفاته طلب من رفاقه العرب التوجه إلى الهند للتبشير بالإسلام وسلمهم رسالة موجهة إلى أعضاء محكمة دولته. وأعرب في تلك الرسالة عن رغبته في إنشاء مسجد في مملكته.
جاء التجار إلى ولاية كيرالا مرة أخرى برسالة الملك. بأمر من الملك ، بنوا أول مسجد في قلب الهند عام 629. سمي المسجد بمسجد شرمان جمعة على اسم الملك شرمان. تم بناء المسجد وفقًا للهندسة المعمارية المحلية ، وهو يشبه إلى حد كبير المعبد الهندوسي. يُعتقد أنه من أوائل المساجد في العالم التي تقيم صلاة الجمعة.
بسبب عدم وجود تاريخ مكتوب وحقيقة أن التاريخ يقوم على قصص تنتشر شفهياً ، فإن بعض المؤرخين لا يتفقون مع قصة تأسيس مسجد شرمان. يعتقد راجان جوروكال ، المؤرخ المحلي في ولاية كيرالا ، أن المسجد ربما تم بناؤه في القرن الحادي عشر أو الثاني عشر. ومع ذلك ، قال محمد سعيد ، رئيس لجنة إدارة المسجد ، إنه كان أول مسجد في الهند يتم بناؤه. على الرغم من أن المؤرخين غير متأكدين من تاريخ تأسيس المسجد ، إلا أنه لا يوجد خلاف كبير حول ما إذا كان التجار المسلمون قد أتوا إلى المنطقة المحيطة به.
تم العثور على أدلة على التجارة العربية مع هذه المناطق الساحلية في جنوب غرب الهند منذ آلاف السنين. هناك تاريخ من قدوم المصريين إلى هذه المنطقة لشراء البهارات من عهد النبي سليمان (صلى الله عليه وسلم) قبل حوالي 3000 عام. اعتاد التجار العرب القدوم إلى الهند باستخدام الرياح الموسمية ، وهنا كانوا ينهون تجارتهم وينتظرون الرياح المعاكسة في الموسم المقبل ثم يستخدمون تلك الرياح للعودة مرة أخرى.
خلال هذا الوقت ، اعتاد العديد منهم على الزواج من نساء محليات. كما بنى العديد من المصريين والسوريين القدماء أضرحة لصلواتهم في وقت الفراغ هذا. في هذه المنطقة ، يمكن رؤية المعابد الهندوسية البوذية والمسلمة والمسيحية لجميع الأديان. لذلك ، ليس من غير المألوف على الإطلاق أن يقوم التجار العرب ببناء المساجد هنا بعد ظهور الإسلام.
وفقًا للتاريخ المحلي ، الذي تأسس مسجد تشيرمان جمعة تحت قيادته ، كان رجل أعمال مسلمًا ومبشرًا اسمه مالك دينار. يشتهر مالك دينار ليس فقط بهذا المسجد ولكن أيضًا بإنشاء العديد من المساجد في أجزاء مختلفة من ولاية كيرالا.
هناك ارتباك حول الهوية الحقيقية للمالك دينار. شكك بعض المؤرخين في إسهامه بربطه بأمير صوفي مسلم آخر اسمه مالك بن دينار. لكن مالك بن دينار ، الذي ورد اسمه في التاريخ ، كان من تلاميذ حضرة حسن البصري (رضي الله عنه) ، وكما يتضح من سيرته الذاتية ، لم يأتِ إلى الهند قط.
وفقًا للمؤرخ بهادور جوبالان ، فإن مؤسس مسجد شرمان هو مالك بن دينار وليس مالك دينار. كان من صحابة الرسول صلى الله عليه وسلم. جاء إلى الهند مع ابن عمه مالك بن حبيب الذي كان شاهد عيان على انشقاق النبي للقمر.
الاسم الحقيقي لمالك دينار غير معروف. الفكرة هي أن كلمة "دينار" ليست من اسمه الأصلي ، بل هي لقب شرفي منحه له السكان المحليون. يعتقد المؤرخون أن كلمة "دينار" مشتقة من الكلمة العربية "دين" وتعني الدين. بادئة الملايلامية "aur" بكلمة "دين"
চেরামন জুমা মসজিদ: রাসূলের জীবদ্দশায় নির্মিত ভারতবর্ষের প্রথম ঐতিহাসিক মসজিদ
বঙ্গ রিপোর্ট ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলমানরা প্রথমে ভারতে আসে অষ্টম শতকে মুহাম্মদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে এবং পরবর্তীতে দশম শতকে সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে। কিন্তু তারও অনেক আগে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর জীবদ্দশাতেই, সপ্তম শতকের প্রথম ভাগে ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অনেকটা নীরবে-নিভৃতে ইসলাম প্রবেশ করে আরব ব্যবসায়ীদের হাত ধরে।আর সেখানেই নির্মিত হয় ভারতবর্ষের প্রথম মসজিদ- চেরামন জুমা মসজিদ। এটি শুধু ভারতবর্ষের প্রথম মসজিদই না, আরব বিশ্বের বাইরে নির্মিত পৃথিবীর প্রাচীনতম মসজিদগুলোর একটি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ভারতবর্ষের বুকে প্রথম মসজিদ প্রতিষ্ঠার অবিশ্বাস্য গল্পটি।
ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমে, আরব সাগরের উপকূলে, বর্তমান কেরালা রাজ্যে এক হিন্দু রাজা ছিলেন, যার নাম ছিল চেরামন পেরুমল। কথিত আছে, একদিন তিনি স্বপ্নে দেখেন যে, আকাশের চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়ে গেছে। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত রাজা তার সভার বিজ্ঞজনদের কাছ থেকে স্বপ্নের অর্থ জানতে চাইলে, কেউ কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। রাজার মনে অস্বস্তি থেকেই যায়।
সেসময় ভারতের সাথে আরবের বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক ছিল। আরব দেশীয় বণিকরা সমুদ্রপথে ভারতে এসে বাণিজ্য করত। রাজার স্বপ্নের কিছুদিন পরেই একদল আরব মুসলমান বণিক, রাজা চেরামনের সমুদ্র বন্দরে এসে পৌঁছে। তখন দিকে দিকে ইসলামের জয়জয়কার। এই বণিকদের কাছ থেকে রাজ্যে এই নতুন ধর্ম ইসলাম এবং এর নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর প্রশংসা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এক সময় মহানবী (সা) এর আঙুলের ইশারায় চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করার কাহিনীও রাজার কানে এসে পৌঁছে।
বণিকদল রাজার চিঠি নিয়ে আবারও কেরালায় আসে। রাজার নির্দেশ অনুযায়ী তারা ৬২৯ সালে ভারতের বুকে সর্বপ্রথম মসজিদ নির্মাণ করে। রাজা চেরামনের নাম অনুসারে মসজিদের নাম রাখা হয় চেরামন জুমা মসজিদ। স্থানীয় স্থাপত্য অনুযায়ী তৈরি এ মসজিদটি দেখতে অনেকটাই হিন্দুদের মন্দিরের মতো। ধারণা করা হয়, এটি বিশ্বের প্রথম মসজিদগুলোর একটি, যেখানে জুমার নামাজের আয়োজন করা হয়।
লিখিত ইতিহাস না থাকায় এবং মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া গল্পের উপর ভিত্তি করে ইতিহাস রচিত হওয়ায়, কিছু কিছু ইতিহাসবিদ চেরামন মসজিদের প্রতিষ্ঠার এই কাহিনীর সাথে একমত পোষণ করেন না। কেরালার স্থানীয় ইতিহাসবিদ রাজন গুরুক্কল মনে করেন, মসজিদটি হয়তো একাদশ অথবা দ্বাদশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়ে থাকতে পারে। তবে মসজিদের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সায়ীদ বলেন, এটিই ভারতে নির্মিত প্রথম মসজিদ।মসজিদের ভেতরে অবস্থিত একটি ফলকে মসজিদটির প্রতিষ্ঠাকাল হিসেবে ৬২৯ সাল লেখা আছে, যদিও ফলকটি সম্ভবত পরবর্তী কোনো সংস্কারকার্যের সময় স্থাপিত। ইতিহাসবিদরা মসজিদটির প্রতিষ্ঠাকাল সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পারলেও, মুসলমান বণিকরা যে এর কাছাকাছি সময়ে ঐ অঞ্চলে এসেছিল, এ ব্যাপারে তাদের মধ্যে খুব একটা দ্বিমত নেই।
হাজার হাজার বছর ধরেই ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমের এই উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর সাথে আরবের বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রায় ৩,০০০ বছর আগে হযরত সোলায়মান (আ) এর সময় থেকেই মিসরীয়দের মশলা ক্রয়ের জন্য এই এলাকায় আসার ইতিহাস পাওয়া যায়। আরবীয় বণিকরা মৌসুমী বায়ুপ্রবাহকে কাজে লাগিয়ে ভারতে আসত, এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য শেষ করে পরবর্তী ঋতুতে বিপরীত দিকের বায়ুপ্রবাহের জন্য অপেক্ষা করত এবং এরপর সেই বায়ুপ্রবাহকে কাজে লাগিয়ে আবার ফেরত যেতো।
মাঝখানের এই সময়টা তাদের অনেকেই স্থানীয় নারীদেরকে বিয়ে করে সংসার করত। প্রাচীন মিসরীয় এবং সিরিয়ানরা অনেকেই এই অবসরকালীন সময়ে নিজেদের প্রার্থনার জন্য উপাসনালয়ও গড়ে তুলেছিল। এই অঞ্চলে তাই পাশাপাশি হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলমান-খ্রিস্টান সবগুলো ধর্মের উপাসানালয়ই দেখতে পাওয়া যায়। কাজেই ইসলামের আবির্ভাবের পরপরই ব্যবসা করতে আসা আরবীয় বণিকরা এখানে মসজিদ গড়ে তোলা মোটেও অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা না।
মালিক দিনারের সত্যিকার পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। কিছু ইতিহাসবিদ তাকে মালিক ইবনে দিনার নামের আরেকজন মুসলিম সুফি সাধকের সাথে মিলিয়ে ফেলার কারণে তার অবদান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। কিন্তু মালিক ইবনে দিনার নামে যার কথা ইতিহাসে পাওয়া যায়, তিনি ছিলেন হযরত হাসান বসরি (র) এর ছাত্র, আর তার জীবনী থেকে দেখা যায়, তিনি কখনোই ভারতবর্ষে আসেননি।
ইতিহাসবিদ বাহাদুর সি গোপালানের বর্ণনা অনুযায়ী, চেরামন মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা তাই মালিক ইবনে দিনার না, বরং মালিক দিনার। তিনি ছিলেন রাসূল (সা) এর সাহাবি। তিনি ভারতে এসেছিলেন তার চাচাতো ভাই মালিক ইবনে হাবিবের সাথে, যিনি রাসূল (সা) এর চাঁদ দ্বিখন্ডিত করার ঘটনাটির একজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন।
মালিক দিনারের প্রকৃত নাম অবশ্য জানা যায় না। ধারণা করা হয়, ‘দিনার’ শব্দটি তার মূল নামের অংশ না, এটি স্থানীয়দের দ্বারা তাকে দেওয়া সম্মানসূচক উপাধি। ইতিহাসবিদদের ধারণা, ‘দিনার’ শব্দটি এসেছে আরবি ‘দ্বীন’ শব্দটি থেকে, যার অর্থ ধর্ম। ‘দ্বীন’ শব্দটির সাথে মালায়লাম ভাষার উপসর্গ ‘অর’ যুক্ত হয়ে তৈরি হয়েছে ‘দিনর’ বা ‘দিনার’ শব্দটি, যার অর্থ, যিনি ধর্ম ধারণ করেন।
মালিক দিনার মোট তিনবার ভারতে এসেছিলেন বলে জানা যায়। প্রথমবার তিনি আসেন মালিক ইবনে হাবিবের সাথে, যখন রাজা চেরামন পেরুমল ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তাদের সাথে মক্কায় গমন করেন। দ্বিতীয়বার তিনি ভারতে আসেন রাজা পেরুমলের মৃত্যুর পর তার চিঠি নিয়ে। এ সময়ই তিনি চেরামন জুমা মসজিদটি সহ আরও কিছু মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর শেষ বয়সে তিনি আবারও ভারতে আসার পথে মৃত্যুবরণ করেন।
মূল চেরামন জুমা মসজিদটি আকারে খুবই ছোট ছিল, পরবর্তীতে একাধিক সংস্কারের মাধ্যমে এটি বর্তমান আকার লাভ করে। মূল মসজিদটি কাঠের তৈরি ছিল, যার কেন্দ্রীয় মূল কাঠামোর কিছু অংশ আজও অক্ষত আছে। প্রথমে একাদশ শতাব্দীতে এবং পরে ১৯৭৫ সালে মসজিদটি দুটি বড় ধরনের সংস্কারের মধ্য দিয়ে যায়।
মসজিদটির ভেতরে একটি প্রাচীন তেল প্রদীপ আছে, যেটি সর্বদা প্রজ্বল্যমান। ধারণা করা হয়, এটি প্রায় ১,০০০ বছর ধরে জ্বলছে। শুধু মুসলমান না, অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরাও এই প্রদীপের জন্য তেল সরবরাহ করে। কেরালার অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ের মতো এই মসজিদটিও সকল ধর্মবিশ্বাসীদের প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত। অমুসলমানরাও এই প্রাচীন ঐতিহাসিক মসজিদটিতে তাদের সন্তানদের হাতেখড়ি দিয়ে থাকে। ঐতিহ্যগতভাবে ধর্মনিরপক্ষে চরিত্রের কেরালার এই মসজিদটিতে দিনের কিছু কিছু সময় হিন্দুরাও প্রার্থনা করে থাকে।
ভারত সরকার জাতিসংঘের সহায়তায় এই মসজিদটি সহ এর আশেপাশে বিশাল এলাকা জুড়ে যে প্রাচীন স্থাপত্যগুলো রয়েছে, সেগুলোকে পুনরুদ্ধার এবং সংরক্ষণের বিশাল উদ্যোগ নিয়েছে। মুজিরিস হেরিটিজ প্রজেক্ট নামের এই প্রকল্পের অধীনে থাকবে একটি মশলা জাদুঘর সহ মোট ২৭টি জাদুঘর, পর্যটকদেরকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম এরকম ৫০টি আকর্ষণীয় স্থান এবং প্রাচীন রোমান সভ্যতার নিদর্শন সম্বলিত একটা খননকৃত এলাকা। এই প্রকল্পটি ২০০৯ সালে শুরু হয়েছে। সম্প্রতি এর প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। চেরামন মসজিদ কর্তৃপক্ষও এই প্রকল্পের সাথে মিল রেখে মসজিদটিকে সর্বশেষ সংস্কারের পূর্বাবস্থায় নিয়ে যেতে আগ্রহী, যাতে ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটি পঞ্চদশ শতকের রূপ লাভ করে।
HINDI
चेरामन जुमा मस्जिद: पैगंबर के जीवनकाल में बनी भारत की पहली ऐतिहासिक मस्जिद
बंगाल रिपोर्ट डिजिटल डेस्क: मुसलमान पहले आठवीं शताब्दी में मुहम्मद बिन कासिम के नेतृत्व में और बाद में दसवीं शताब्दी में सुल्तान महमूद के नेतृत्व में भारत आए। लेकिन उससे बहुत पहले, पैगंबर मुहम्मद (उन पर शांति हो) के जीवनकाल के दौरान, सातवीं शताब्दी के पूर्वार्ध में, इस्लाम ने अरब व्यापारियों का हाथ पकड़कर बहुत ही शांति से भारत के दक्षिण-पश्चिमी तट में प्रवेश किया। यह न केवल भारत की पहली मस्जिद है, बल्कि अरब दुनिया के बाहर बनी दुनिया की सबसे पुरानी मस्जिदों में से एक है। आइए जानें, भारत के दिल में पहली मस्जिद स्थापित करने की अविश्वसनीय कहानी।
भारत के दक्षिण-पश्चिमी भाग में, अरब सागर के तट पर, वर्तमान केरल राज्य में, चेरामन पेरुमल नाम का एक हिंदू राजा था। कहा जाता है कि एक दिन उसने स्वप्न में देखा कि आकाश का चन्द्रमा दो भागों में विभक्त हो गया है। चिंतित नव-हिप्पी और उनकी ग्लोबल वार्मिंग, मैं आपको बताता हूँ। राजा का मन बेचैन रहा।
उस समय अरब के भारत के साथ अच्छे व्यापारिक संबंध थे। अरब व्यापारी व्यापार करने के लिए समुद्र के रास्ते भारत आते थे। राजा के सपने के तुरंत बाद, अरब मुस्लिम व्यापारियों का एक समूह राजा चेरामन के समुद्री बंदरगाह पर पहुंचा। फिर इस्लाम की जीत। इन व्यापारियों से इस्लाम का नया धर्म और उसके पैगंबर मुहम्मद (सल्लल्लाहु अलैहि वसल्लम) राज्य में फैलने लगे। एक समय नबी (सल्लल्लाहु अलैहि वसल्लम) के कहने पर चाँद के फूटने की कहानी राजा के कानों तक पहुँची।
राजा व्यापारियों को बुलाता है, उनकी बात सुनता है और महसूस करता है कि उसने अपने सपने में इसका संकेत दिया है। उन्होंने इस्लाम धर्म अपना लिया और व्यापारियों के एक समूह के साथ मक्का के लिए निकल पड़े। ऐसा कहा जाता है कि वहां वह पैगंबर मुहम्मद (उन पर शांति) से मिले और उन्होंने 'ताजुद्दीन' नाम लिया। मक्का से भारत वापस जाते समय ओमान में उनकी मृत्यु हो गई। अपनी मृत्यु से पहले, उन्होंने अपने अरब साथियों से इस्लाम का प्रचार करने के लिए भारत जाने का अनुरोध किया और उन्हें अपने राज्य दरबार के सदस्यों को संबोधित एक पत्र सौंपा। उस पत्र में उन्होंने अपने राज्य में एक मस्जिद स्थापित करने की इच्छा व्यक्त की थी।
राजा के पत्र के साथ व्यापारी फिर केरल आए। राजा के आदेश पर, उन्होंने 629 में भारत के मध्य में पहली मस्जिद का निर्माण किया। राजा चेरामन के नाम पर मस्जिद का नाम चेरामन जुमा मस्जिद रखा गया। स्थानीय वास्तुकला के अनुसार निर्मित, मस्जिद एक हिंदू मंदिर की तरह दिखती है। इसे दुनिया की पहली मस्जिदों में से एक माना जाता है जहां जुमे की नमाज अदा की जाती है।
लिखित इतिहास की कमी और इस तथ्य के कारण कि इतिहास मुंह से फैलाई गई कहानियों पर आधारित है, कुछ इतिहासकार चेरामन मस्जिद की स्थापना की कहानी से सहमत नहीं हैं। केरल के एक स्थानीय इतिहासकार राजन गुरुक्कल का मानना है कि मस्जिद का निर्माण ग्यारहवीं या बारहवीं शताब्दी में हुआ होगा। हालांकि, मस्जिद की प्रबंधन समिति के अध्यक्ष मोहम्मद सईद ने कहा कि यह भारत में बनने वाली पहली मस्जिद थी। हालांकि इतिहासकार मस्जिद की स्थापना की तारीख के बारे में अनिश्चित हैं, लेकिन इस बात पर बहुत कम असहमति है कि क्या मुस्लिम व्यापारी इसके आसपास के क्षेत्र में आए थे।
दक्षिण-पश्चिम भारत के इन तटीय क्षेत्रों के साथ अरब व्यापार के प्रमाण हजारों वर्षों से मिलते रहे हैं। लगभग 3,000 साल पहले पैगंबर सुलैमान (उस पर शांति हो) के समय से मसाले खरीदने के लिए मिस्र के लोगों का इस क्षेत्र में आने का इतिहास है। अरब व्यापारी मानसूनी हवाओं का उपयोग करके भारत आते थे, यहाँ वे अपना व्यापार समाप्त कर अगले मौसम में विपरीत हवाओं की प्रतीक्षा करते थे और फिर उन हवाओं का उपयोग वापस लौटने के लिए करते थे।
इस दौरान उनमें से कई स्थानीय महिलाओं से शादी करते थे। कई प्राचीन मिस्रियों और सीरियाई लोगों ने भी इस ख़ाली समय में अपनी प्रार्थनाओं के लिए धर्मस्थलों का निर्माण किया। इस क्षेत्र में, साथ ही सभी धर्मों के हिंदू-बौद्ध-मुस्लिम-ईसाई मंदिरों को देखा जा सकता है। इसलिए, अरब व्यापारियों के लिए इस्लाम के आगमन के बाद यहां मस्जिदों का निर्माण करना बिल्कुल भी असामान्य नहीं है।
स्थानीय इतिहास के अनुसार, जिनके नेतृत्व में चेरामन जुमा मस्जिद की स्थापना की गई थी, वह मलिक दीनार नाम के एक मुस्लिम व्यापारी और मिशनरी थे। मलिक दिनार न केवल इस मस्जिद के लिए बल्कि केरल के विभिन्न हिस्सों में कई और मस्जिदों की स्थापना के लिए भी प्रसिद्ध है।
मालिक दीनार की असली पहचान को लेकर भ्रम की स्थिति है। कुछ इतिहासकारों ने मलिक इब्न दिनार नामक एक अन्य मुस्लिम सूफी संत के साथ उन्हें जोड़कर उनके योगदान पर संदेह जताया है। लेकिन मलिक इब्न दिनार, जिसका नाम इतिहास में मिलता है, हज़रत हसन बसरी (रा) के छात्र थे, और जैसा कि उनकी जीवनी से देखा जा सकता है, वह कभी भारत नहीं आए।
इतिहासकार बहादुर सी गोपालन के अनुसार, चेरामन मस्जिद के संस्थापक इसलिए मलिक इब्न दिनार हैं, मलिक दिनार नहीं। वह पैगंबर के साथी थे (शांति उस पर हो)। वह अपने चचेरे भाई मलिक इब्न हबीब के साथ भारत आया, जो पैगंबर के चांद के बंटवारे के चश्मदीद गवाह थे।
मलिक दिनार का असली नाम ज्ञात नहीं है। विचार यह है कि 'दीनार' शब्द उनके मूल नाम का हिस्सा नहीं है, यह स्थानीय लोगों द्वारा उन्हें दी गई एक सम्मानजनक उपाधि है। इतिहासकारों का मानना है कि 'दीनार' शब्द अरबी शब्द 'दीन' से आया है, जिसका अर्थ है धर्म। मलयालम उपसर्ग 'और' 'दीन' शब्द के साथ
ENGLISH
Cheraman Juma Mosque: The first historic mosque in India built during the lifetime of the Prophet
Bengal Report Digital Desk: Muslims first came to India in the eighth century under the leadership of Muhammad bin Qasim and later in the tenth century under the leadership of Sultan Mahmud. But long before that, during the lifetime of the Prophet Muhammad (peace be upon him), in the first half of the seventh century, Islam entered the south-west coast of India very quietly, holding the hands of Arab merchants. It is not only the first mosque in India, but also one of the oldest mosques in the world built outside the Arab world. Let's find out, the incredible story of establishing the first mosque in the heart of India.
In the southwestern part of India, on the coast of the Arabian Sea, in the present state of Kerala, there was a Hindu king named Cheraman Perumal. It is said that one day he saw in a dream that the moon in the sky had split in two. Concerned neo-hippies and their global warming, i'll tell ya. The king's mind remained uncomfortable.
At that time, Arabia had good trade relations with India. Arab merchants came to India by sea to trade. Shortly after the king's dream, a group of Arab Muslim merchants arrived at the seaport of King Cheraman. Then the triumph of Islam. From these merchants the new religion of Islam and its Prophet Muhammad (peace be upon him) began to spread in the kingdom. At one time, the story of the splitting of the moon at the behest of the Prophet (peace be upon him) also reached the ears of the king.
The king calls the merchants, listens to them, and realizes that in his dream he has hinted at this. He converted to Islam and set out for Mecca with a group of merchants. It is said that there he met the Prophet Muhammad (peace be upon him) and took the name 'Tajuddin'. He died in Oman on his way back to India from Mecca. Before his death, he requested his Arab comrades to go to India to preach Islam and handed them a letter addressed to the members of his state court. In that letter, he expressed his desire to establish a mosque in his kingdom.
The merchants came to Kerala again with the king's letter. On the orders of the king, they built the first mosque in the heart of India in 629. The mosque was named Cheraman Juma Mosque after King Cheraman. Built according to local architecture, the mosque looks a lot like a Hindu temple. It is thought to be one of the first mosques in the world to hold Friday prayers.
Due to the lack of written history and the fact that history is based on stories spread by word of mouth, some historians do not agree with the story of the founding of the Cheraman Mosque. Rajan Gurukkal, a local historian in Kerala, thinks the mosque may have been built in the eleventh or twelfth century. However, Mohammad Sayeed, chairman of the mosque's management committee, said it was the first mosque in India to be built. Although historians are unsure of the date of the mosque's founding, there is little disagreement as to whether Muslim merchants came to the area around it.
Evidence of Arab trade with these southwestern coastal regions of India has been found for thousands of years. The Egyptians came to the area to buy spices from the time of Prophet Solomon (peace be upon him) about 3,000 years ago. Arab merchants used to come to India using seasonal winds, end their trade here, wait for the opposite winds in the next season, and then return using those winds.
During this time many of them used to marry local women. Many ancient Egyptians and Syrians also built shrines for their prayers during this leisure time. In this region, as well as Hindu-Buddhist-Muslim-Christian temples of all religions can be seen. Therefore, it is not at all uncommon for Arab merchants to build mosques here after the advent of Islam.
According to local history, under whose leadership the Cheraman Friday Mosque was established, he was a Muslim businessman and missionary by the name of Malik Dinar. Malik Dinar is famous not only for this mosque but also for establishing several more mosques in different parts of Kerala.
There is confusion about the true identity of the owner Dinar. Some historians have cast doubt on his contribution by associating him with another Muslim Sufi saint named Malik Ibn Dinar. But Malik Ibn Dinar, whose name is found in history, was a student of Hazrat Hasan Basri (ra), and as can be seen from his biography, he never came to India.
According to the historian Bahadur C. Gopalan, the founder of the Cheraman Mosque was therefore Malik Ibn Dinar, not Malik Dinar. He was a companion of the Prophet (peace be upon him). He came to India with his cousin Malik Ibn Habib, who was an eyewitness to the Prophet's splitting of the moon.
The real name of the owner Dinar is not known. The idea is that the word ‘dinar’ is not part of his original name, it is an honorary title given to him by the locals. Historians believe that the word 'dinar' comes from the Arabic word 'deen', which means religion. The Malayalam prefix ‘aur’ with the word ‘deen’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন