দ্বিগুন হলো ” কৃষক বন্ধু প্রকল্পের” অনুদান – মন্ত্রিসভার অনুমোদন। বার্ষিক ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হল। West Bengal Krishak Bandhu Prakalpa
২০২১ এর নির্বাচনে সরকারে আসার পর একের পর এক নির্বাচনী ইস্তেহার পূরণ করে চলেছে রাজ্য সরকার। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের অন্যান্য চাপ প্রচুর। তবুও মানুষকে কে দেওয়া কথা পূরণে বদ্ধপরিকর মমতা ব্যানার্জির সরকার।
এবার কৃষকদের দেওয়া কথাও রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিগুন বৃদ্ধি করা হল ‘কৃষকবন্ধু প্রকল্পের ’ ( Krishak Bandhu Prakalpa ) ভাতা বার্ষিক ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হল। বৃহস্পতিবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে বলে খবর।
রাজ্য সরকারের ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে এতদিন বছরে ৫ হাজার টাকা করে পেতেন কৃষকরা। একলপ্তে এই টাকা তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পড়ত। এবার থেকে পাবেন বার্ষিক ১০ হাজার টাকা। রাজ্য সরকারের এই দরদী সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি কৃষকমহল।
কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধে কি এবং স্ব-ঘোষণা পত্র দিয়ে কিভাবে আবেদন করবেন করবেন ।
রাজ্যে কৃষিক্ষেত্রে আরও উন্নয়নের জন্য বরাবর বাড়তি নজর রয়েছে সরকারের। কৃষিভিত্তিক রাজ্য বাংলায় সেটাই স্বাভাবিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে চালু করেছে কৃষকবন্ধু প্রকল্প।
‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্প সম্পূর্ণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। বছরে ৫ হাজার টাকা পেতেন রাজ্যের সমস্ত কৃষক। ভোটের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো কৃষকদের কথা দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় ফিরলে এই ভাতার অঙ্ক বাড়ানো হবে। ক্ষমতায় ফিরে তাই সেই কথা রাখলেন।
বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল নবান্নে। তাতেই কৃষকবন্ধু প্রকল্পে মাথা পিছু ভাতার অঙ্ক ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় মন্ত্রিসভা।
রাজ্য সরকারের এই ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের সঙ্গে কেন্দ্রের ‘কিষাণ সম্মান নিধি’ প্রকল্পের প্রতিযোগিতা বরাবরই ছিল। নির্বাচনী আবহে তা আরও বেড়েছিল।
ভোটের আগে বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রীরা এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বছরে ৬ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন কৃষকরা এবং যেহেতু গত ২ বছর ধরে কেন্দ্রের প্রকল্পটি চালু হওয়া সত্ত্বেও বাংলায় তা লাগু হয়নি ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন