রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

■মহা গ্রন্থ আল-কুরআনে আল্লাহর ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ !!!!

 






■মহা গ্রন্থ আল-কুরআনে আল্লাহর ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ !!!!

■কুরআনে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা মানব ও জীন জাতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন:
🚫যারা বলে আল-কোরআন আল্লাহর বানী নয়। এটা নবী মুহাম্মাদ (সঃ) নিজে তার ইচ্ছামত রচনা করেছে –
■আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তাদের কে বলেন>>
●যদি কুরআনের অনুরুপ কুরআন আনার জন্য মানুষ ও জিন সমবেত হয় এবং যদিও তারা পরস্পরকে সাহায্য করে তবুও তারা এর অনুরুপ আনতে পারবে না। [সূরাঃ বানী ইসরাঈল--৮৮]
■আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আরও বলেন>>>
●তোমরা যদি (তোমাদের দাবীতে) সত্যবাদী হও তবে তোমরা এর অনুরূপ দশটি সূরা রচনা করে নিয়ে আস এবং আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য যাকে পার (এ ব্যাপারে সাহায্যের জন্য) ডেকে নাও [সূরাঃ হুদ--১৩]
■আল্লাহ চ্যালেঞ্জ কে আরো সহজ করে দিয়ে বললেন>>>
●নাকি তারা বলে, ‘ তিনি অর্থাৎ [মুহাম্মদ (সঃ)] এটা রচনা করেছেন?’ বলুন, ‘তবে তোমরা এর অনুরূপ একটি সূরা নিয়ে আস এবং আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য যাকে পার ডাক, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
[সূরাঃ ইউনুস--৩৮]
■আল্লাহ চ্যালেঞ্জ কে সহজ করে দিয়ে অারো বলেন>>
●আমি আমার বান্দার প্রতি যা নাযিল করেছি তাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকলে তোমরা তার মত
কোন সূরাহ এনে দাও আর তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে আহবান কর।[সূরাঃ আল বাকারা--২৩]
●অতএব যদি তোমরা তা করতে না পার এবং তোমরা তা কখনও করতে পারবে না, তাহলে তোমরা সেই জাহান্নামের ভয় কর যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর – যা অবিশ্বাসীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
[সূরাঃ আল বাকারা--২৪]
🗼এখানে কুরআনে অন্তর্ভুক্ত সূরাগুলির মতো যে
কোনও একটি সূরা রচনা আল্লাহ তা'আলা কুরআনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় চ্যালেঞ্জটি পুনরাবৃত্তি হয়েছে। সৌন্দর্য, স্পষ্টতা, গভীরতা এবং অর্থের দিকগুলি
বিবেচনা করে, কুরআনে একটি সূরার সমতুল্য
অন্য একটি সূরা তৈরি করার চ্যালেঞ্জ
আজ অবধি, এটি এখনও একটি চ্যালেঞ্জ। আজ পর্যন্ত এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে কেউ সক্ষম
হয়নি। কেয়ামত পর্যন্ত কেউ সক্ষম হতে পারবে না





দাড়ি: যে সুন্নাহ মৃত্যুর পরেও থাকে

.
মৃত্যুর পর পুরুষদের দৃশ্যমান সুন্নাহ হচ্ছে দাড়ি। প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন দাড়িওয়ালা সুন্দর চেহারার মানুষ ছিলেন। একজন নবীপ্রেমি মাত্রই রাসূলের সুন্নাহকে আকড়ে ধরতে চাইবে। তাঁর মুহাব্বতে স্বীয় বেশভূষা, আমল, আখলাক সহ সকল পালনীয় সুন্নাহের প্রতি আমলে সচেষ্ট থাকবে। এটাই তো নবীপ্রেমের বাহ্যিক প্রমাণ।
.
প্রত্যেকেই চায় তার প্রতি ভালবাসার নিদর্শন দেখতে। এটা তো এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। নিকষ কালো আধারিতে আরামের ঘুম থেকে উঠে ‘কে’ তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে‚ ফযরের দুই রাকাত সুন্নাত সালাত ‘খুশু খুজুর সাথে আদায় করে অথবা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহের উপর নিয়মিত আমল করে, তা বাহির থেকে দেখে উপলব্ধি করা খুবই কষ্টকর। তবে কারো মুখে যদি দাড়ি থাকে, গায়ে সুন্নাতি লেবাস থাকে আর মাথা ঢাকা থাকে তবে অন্ততপক্ষে বাহির থেকে দেখে কিছুটা হলেও আঁচ করা যায় ‘কে’ আসলে প্রকৃত রাসূলপ্রেমিক! কিছু ভালবাসার হোক না বাহ্যিক প্রমাণ।
.
সকল নবী-রাসূলগণের দাড়ি ছিল। এমনকি সকল আম্বিয়ায়ে কেরামগণেরও দাড়ি ছিল। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন‚ “তোমরা গোঁফ অধিক ছোট করবে এবং দাড়ি ছেড়ে দিবে (বড় রাখবে)। অর্থাৎ মুশরিকদের উল্টো করবে।” (বুখারী, ৫৮৯২-৯৩; তিরমিজি, ২৭৬৩-৬৪; মুসলিম, ২৫৯)
.
দাড়িই পুরুষের একমাত্র দৃশ্যমান সুন্নাহ যেটা নিয়ে আমরা আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে পারি। যে অবস্থায় ব্যক্তি মারা যাবে সে অবস্থায় তাকে হাশরে উদিত করা হবে। একবার ভাবুন তো‚ হাশরের ময়দানে আমার মুখে দাড়ি না থাকার কারণে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কতটা কষ্ট পেতে পারেন!
.
তবে আশা জাগানিয়া একটি বিষয় দৃশ্যমান হচ্ছে, বর্তমান সময়ে তরুণদের মধ্যে দাড়ি রাখার একটি প্রচলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ।
.
আমরা যারা ইতিমধ্যে নবীজির সুন্নাহ দাড়ি রেখেছি আমরাও চেষ্টা করবো রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহের উপর যথাসাধ্য আমল করতে। ইন শা আল্লাহ‚ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদেরকে ইসলামের পথে জান্নাতের সুশীতল ছায়ার মালিক হিসেবে কবুল করে নিবেন, আমিন

কোন মন্তব্য নেই: