একটি শিক্ষনীয় গল্প....!
আশা করি সবার উপকারে আসবে...!!
একদিন তিনি পিপাসার্ত হয়ে খাদেমের কাছে পানি চাইলেন।
খ্যাতনামা বুযুর্গ বুহলূল রাহ. খলীফার কাছেই ছিলেন।
খলীফা পানি পান করতে যাবেন, এমন সময় বুহলূল বললেন... জনাব, একটু থামুন।
আমার একটি প্রশ্ন আছে। খলীফা কিছুটা অবাক হয়ে পাত্র নামিয়ে নিলেন।
বুহলূল বললেন, ‘প্রচন্ড পিপাসার সময় এই এক পাত্র পানির জন্য আপনি কী পরিমাণ সম্পদ খরচ করতে রাজি হবেন?’
একটু ভেবে খলীফা বললেন, ‘পিপাসা যদি তীব্র হয়,
প্রাণনাশের আশঙ্কা দেখা দেয় তাহলে প্রয়োজনে আমার গোটা রাজত্ব দিয়ে হলেও এ পানিটুকু পেতে চাইব।
বুহলূল বললেন, ঠিক আছে। পান করুন।’ খলীফা পানি পান করার পর বুহলূল আবার জিজ্ঞাসা করলেন, হুজুর, আরেকটি ছোট্ট প্রশ্ন আছে।’
খলীফা বললেন, ‘বলুন।’ বুহলূল বললেন, ‘আপনি যে পানিটুকু পান করলেন তা যদি আপনার
শরীরে আটকে থাকে (অর্থাৎ প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়) তাহলে তা বের করার জন্য কী পরিমাণ ব্যয় করবেন?’
খলীফা বললেন, ‘এমন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজনে আমার গোটা রাজত্ব দিয়ে দেব।
এবার বুহলূল: বললেন, ‘হুজুর! এই রাজত্বের কী মূল্য, যা এক পাত্র পানির পান করার জন্য এবং এক পাত্র পানি শরীর থেকে বের করার জন্য চলে যায়?!’
অর্থাৎ এটি আল্লাহ তাআলার এত বড় নেয়ামত, এর মোকাবিলায় আপনার এই বিশাল রাজত্বও অতি তুচ্ছ।
শিক্ষা:
এক গ্লাস পানির জন্য যদি একবড় বিনিময় দেওয়া যায়, তাহলে আমরা প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে আল্লাহ তায়ালার যে পরিমাণ
নিয়ামতরাজি ভোগ করছি, তার মূল্য কি নির্ধারণ করা কারো পক্ষে সম্ভব? অথচ আমরা এত কিছুর পরও আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ে কৃপণতা করি।
এই হাদিসটা লিখে রাখুন হৃদয়ে , হতাশায়' কাজে আসবে ইনশাআল্লাহ্'।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সুমহান আল্লাহ বলেছেন, “হে আদম সন্তান! যতক্ষন পর্যন্ত তুমি আমাকে ডাকতে থাক এবং আমার আশা পোষণ করতে থাক সে পর্যন্ত আমি তোমাকে মার্জনা করতে থাকি,
তোমার যত পাপই হোক না কেন। আর আমি কোন ভয় করি না। হে আদম সন্তান! যদি তোমার পাপরাশি আসমান পর্যন্তও পৌছে, তারপর তুমি আমার কাছে মাফ চাও,
আমি তোমাকে মাফ করে দিই এবং আমি কাউকে গ্রাহ্য করি না।”
“হে আদম সন্তান! যদি তুমি আমার কাছে পৃথিবী পরিমাণ পাপ নিয়ে আস আর আমার কোন অংশী স্থির না করে আমার সাথে সাক্ষাত কর,
নিশ্চয়ই আমি সে পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার কাছে আসব।”


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন