SAGAR  DIGITAL GRAMIN SEVA

ISLAMIC TECHNICAL HELPING BLOGING.

Top Post

technical

Sponsaer

অনুসরণকারী

শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩

## গুরুত্বপূর্ণ একটি নসিহা # সমস্ত বিদআত ও সমাজে প্রচলিত রীতিনীতি বর্জন করে সুন্নতের উপরে আমল হোক, তাতেই রয়েছে সার্বিক কল্যাণ ও সফলতা##






 ## গুরুত্বপূর্ণ একটি নসিহা # সমস্ত  বিদআত ও সমাজে প্রচলিত রীতিনীতি  বর্জন করে  সুন্নতের উপরে আমল হোক, তাতেই রয়েছে সার্বিক কল্যাণ ও সফলতা##

লেখক : Badruddoja Nadvi Hafizahullah.


"     চুপিসারে  তার কেটে দিলে নেকী হবে "

সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হল নামায। ফজরের সময় অত্যন্ত গাঢ় নিদ্রায় মগ্ন থাকে অধিকাংশ মানুষ। তথাপি এই ইবাদতের জন্য মুয়াজ্জিনকে বলা হল কেবলমাত্র একটি বাক্য "আস-স্বলাতু খয়রুম মিনান নাউম" ( নিদ্রা অপেক্ষা নামায উত্তম) বলে হাঁক দিতে। তারপর আর কোন প্রকার ডাক হাঁক নয়। অথচ ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ রোযার বেলা এত বাড়াবাড়ি কেন?  চারিদিকে এত কেন হুক্কা হুয়া, এত কেন শোরগোল? ইসলামী নিয়ম হল সাহরীর সময়কে সামনে রেখে একটি অতিরিক্ত আযান দেওয়া। এই আযানের উদ্দেশ্যও আবার রাসুলুল্লাহ সাঃ বলে দিয়েছেন।

عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، - رضى الله عنه - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ يَمْنَعَنَّ أَحَدًا مِنْكُمْ أَذَانُ بِلاَلٍ - أَوْ قَالَ نِدَاءُ بِلاَلٍ - مِنْ سَحُورِهِ فَإِنَّهُ يُؤَذِّنُ - أَوْ قَالَ يُنَادِي - بِلَيْلٍ لِيَرْجِعَ قَائِمَكُمْ وَيُوقِظَ نَائِمَكُمْ ‏.(مسلم -٢٤٣١)

 অর্থ:-  ইবনু মাসউদ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কাউকেই যেন বিলালের আযান অবশ্যই তার সাহরী খাওয়া হতে বিরত না রাখে। কেননা সে রাতেই আযান দেয়, যাতে তোমাদের কিয়ামকারীগণ সাহরী খেতে শুরু করে এবং ঘুমন্ত ব্যক্তি সাহরী খাওয়ার জন্য জাগে। তিনি তার হাতে আঙ্গুল ফাঁকা করে দু'জনের আযানের সময়ের ব্যবধান বুঝালেন। ( মুসলিম -২৪৩১)

দ্বিতীয় আযান হত ফজরের জন্য এবং তা দিতেন ইবনে উম্মে মাকতুম। তখন খানা পিনা বন্ধ হয়ে যেত। 

 এমন সুষ্পষ্টভাবে ইসলামী বিধান বলে দেওয়ার পর একে যথেষ্ট মনে না করে মনগড়া যুক্তির আধারে বার বার ঘোষণা দেওয়া, গজল,কিরাত পরিবেশন করাকি খুব বড় পূণ্যের কাজ? না খোলাখুলিভাবে ইসলাম বিরোধীতা?

এতবার বলে, এত লেখালেখি করে, কেন কোন লাভ হচ্ছেনা? যারা একাজ করছে এবং যারা করাচ্ছে তাদের গায়ে কি মুসলমানের চামড়া নেই? তারা এত বজ্জাত, এত নির্লজ্জ কেন? ধর্মের বিষয়ে এই বিদয়াত করে যাওয়ার ছাড়পত্র কে দিয়েছে এই নির্লজ্জ দালালদের? ইসলামী শাসন থাকলে দিবালোকে এই ঘৃণীত বিদয়াতিদের জনসমক্ষে জুতা পেটা করা হতো। এভাবে ওপেন বিদয়াত করার দুঃসাহসিকতা সত্যিই আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। আমরা দিশেহারা হয়ে গেছি। ধর্মের নামে অধর্মের এমন রমরমা কারবার আর সহ্য করতে পারছিনা। কিন্তু জীর্ণ শরীরে কিছু করার মতো জো দেখছিনা। তাই এই লেখাটি।

রাত সাড়ে তিনটায় প্রথম ঘোষণা। যোগ্যতার বহর অনুযায়ী রকমারি ঘোষণা হয়। কেউ বলে - মা,খালারা জেগে উঠুন, সাহরীর সময় হয়ে গেছে।

কেউ বলে - এখন রাত সাড়ে তিনটা, সাহরীর শেষ সময় রাত চারটা কুড়ি মিনিট। আপনারা আর ঘুমিয়ে না থেকে জেগে উঠুন, সাহরী রান্না করুন।

কেউ আবার হাত পা ভাঙ্গা কিরাত শোনায়। যার কিরাত শুনলে জিন ও মালায়েকা দেশ ছেড়ে দ্বীপে পালায়ন করতে বাধ্য হয়।

কেউ আবার আযান দেয়না, কেবল ঘোষণা - মুহতারাম হাযরাত , রাতকে সাড়ে তিন বাজ চুকে হেঁ। সাহরী কা অকত হো গ্যায়া হ্যাই। আজ সাহরীকা আখিরি ওয়াক্ত চার বাজকর বিশ মিনাট হ্যাই। তারপর একটি পবিত্র ( ?) উর্দু কবিতা।

ওঠো ওঠো রোজেদারো, গাফলাত কি নিন্দ সে বেদার হো যাও।

আউর সাহরী খা কর জান্নাত কা হাকদার হো যাও।  ইত্যাদি।

এই ঘোষণা প্রতি ৫/৭ মিনিট অন্তর হতে থাকে। এমনকি আযানের ৫ মিনিট আগে পর্যন্ত। তাহলে এদেরকে বলি -

১- কাউকে পিড়াপিড়ি করে ধর্ম করার কথা কোন হাদীসে এসেছে বলতে পারেন?

২- এই তারিকাকি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর আমলে ছিল? না অন্য কোন তারিকা ছিল, যা আপনি মানেন না?

৩- আপনিকি গ্ৰামের মানুসগুলোকে মুর্খ মনে করেন এবং সবাই বিছানায় মরে পড়ে থাকে? তাই ওদেরকে বার বার চিৎকার করে হাঁক দিতে হয়? 

৪- কোন বাড়িতে ঘড়ি, মোবাইল নেই। কোন মসজিদে সাহরী ইফতারের ক্যালেন্ডার নেই? আপনি গায়ে পড়ে কেন বলতে যাচ্ছেন সময়ের কথা। রোজাদারের নিজের কোন দায়িত্ব নেই?

৫- আপনার প্রতিবেশীতে কোন অমুসলিম মহল্লা আছে? যদি থাকে তবে ঐ সময়ে একটি অধর্ম করতে গিয়ে তাদের নিদ্রা হারাম করে এমন ধর্ম করার অনুমতি ইসলামে আছে? এটা কত বড় যুলুম করছেন তা একবার ভেবে দেখেছেন কি?

৬- ব্যবসার স্বার্থে যারা রাত ২, ৩, ৪ টায় জেগে নিজের তাগিদে ষ্টেশনে গিয়ে বিভিন্ন ট্রেন ধরতে পারে তারা আযান শুনে সাহরী খেতে পারবে না? ভেবে দেখুন - দুই পক্ষের মধ্যে বেকুফ কে, আপনি ( ঘোষক), না রোজাদার?

৭- আপনি সুন্নতি আযান ছেড়ে দিয়ে বিদয়াতি কাজে জড়িয়ে পড়েছেন কেন? আল্লাহকে বলে একটুও মনে ভয় হয়না? 

৭- মাইক আছে বলেই তোমাদের এই মনগড়া তরিকা তাই না? যে মসজিদে মাইক নেই সেখানে কেউ এই ভাবে চিল্লাচিল্লি করে না, তাদের রোযা হয়না বুঝি? যেহেতু তারা কেউ জাগতে পারে না? তাদের কেউ জাগায়না।

ফেসবুক, হটসঅ্যাপ এবং মৌখিক ভাবে বলেও যখন কিছু লোক নিজের জেদ থেকে সরে আসার নাম নেয়না তখন বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, গ্ৰামে গ্ৰামে এমন দুএকটা যুবক তৈরি হও। একটা নেকীর কাজ করো। মাইকের তার কেটে দিয়ে সংযোগ ছিন্ন করে দাও। বিনা মাইকের আযানে নামায পড়া খাঁটি সুন্নাত এবং বিদয়াতের পথ বন্ধ করা ফরয। ফরযটা আগে করে সওয়াব হাসিল করার চেষ্টা করো। আল্লাহ তুমি এমন দুএকটা যুবক তৈরি করে দাও।










ONCLICKE 







কোন মন্তব্য নেই: