জোরে আমিন ও আস্তে আমিন এর কোনটা ঠিক
১২৫৮ সাল হালাকু খান এর হাতে বাগদাদের পতন হয়।৬২৬ বছরের মুসলিম শাসনের সোচনীয় পতন যখন ঘটে কথিত আছে তখন হানাফী ও শাফেয়ী ধর্মীয় পন্ডিতবর্গ জোরে আমিন ও আস্তে আমিন এর কোনটা ঠিক তা নিয়ে তর্কযুদ্ধে মশগুল ছিলেন এবং উভয় পক্ষের নিম মৌলবীরা নিজ পক্ষের সমর্থনে উত্তেজনা ছড়াতে থাকে।
জোরে আমিন ওয়ালা জান্নাতে গেছে কি আস্তে আমিন ওয়ালা জান্নাতে গেছে বা তার বিপরিতে জাহান্নামে গেছে এপর্যন্ত তার হদিশ মিলেনি তবে যা জানা গেছে তাতে হালাকুর তরবারি উভয় গোষ্টির রক্তে লাল হয়েছিল।
পড়ার যুগে ভাবতাম উপমহাদেশের মৌলবী সাহেবগণ বেশী কামড়াকামড়ি পছন্দ করেন কিন্তু পরে বোধে আসে বাগদাদ ধংসের সময় উপমহাদেশের মৌলবীগণ সেখানে ছিলেন না।
সে সময় আহলে হাদিস বলে কোন উল্লেখ যোগ্য গোষ্টি ছিল না এঁরা ছিল বিক্ষিপ্ত।
আহলে হাদিস সংগঠন একটি নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় কিন্তু আরবে যখন “মাদখালি”গ্রুপ এর আবির্ভাব ঘটে তখন আহলে হাদিসরা “মাদখালি” গ্রুপ দ্বারা প্রভাবিত হয় যা সালাফী মতাদর্শ নামে খ্যাত।
ফল স্বরুপ উপমহাদেশের আহলে হাদিস পরিচালিত প্রচুর মাদরাসার পুরাতন নামের সংগে সালাফীয়া যোগ করা হয় অথবা সমূলে নাম পরিবর্তন করা হয়।ক্রমশ…………
Md Ishaque Madani
বর্তমান যুগেও মুসলিমদেরকে সব জায়গাতেই মারছে কুচু কাটা করা হচ্ছে
আর নাম ধারনকারি আহলে হাদিসের আলেমরাও বিভিন্ন ছোট খাটো মশলা নিয়ে জাতীর মধ্যে বিভেদ সৃস্টি করছে।
আল্লাহ তুমি মুসলিম জাতিকে হেফাজত কর আমীন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন