অবসর সময়গুলোতে আমরা কি করছি?
.
- টিভি দেখছি?
- গল্প-গুজব, আড্ডা, পরনিন্দা (অন্যের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা)?
- (শরীয়াহ অনুমোদিত নয় এমন) খেলাধূলা?
- গল্পের বই?
- ফেইবুক (অপব্যবহারে)?
- অবিশ্বাসীদের মত (হারাম) আনন্দ-ফূর্তিতে মেতে থাকা?
.
এবার দেখি আল্লাহ আমাদেরকে অবসর সময়ে কি করতে বলেছেন?
মহান আল্লাহ্ বলেছেনঃ
"অতএব, যখন অবসর সময় পাও তখন (ইবাদতের জন্য) পরিশ্রম করো, আর তোমার পালনকর্তার দিকে মনোনিবেশ করো।"
(সূরা ইনশিরাহ (৯৪), আয়াত ৭-৮)
____
.
.
অথচ মানুষ সময়গুলোকে কাজে লাগায় না। হেলায়-ফেলায় অথবা অহেতুক-অনর্থক কাজের মাধ্যমে জীবনের অনেকগুলো মূল্যবান সময় নষ্ট করছে।
.
এজন্যই আল্লাহ্ বলেছেনঃ "কসম সময়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ"। ( সুরা আসরঃ ১)
.
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
“এমন দুটি নিয়ামত আছে, বহু মানুষ সে দুটির ব্যাপারে ধোঁকায় আছে। (তা হল) সুস্থতা ও অবসর।”
(বুখারী ৬৪১২, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)
____
আল্লাহ বলেছেন ----
মানুষ ভুলে যায় কেন তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে!
"আমি মানুষ ও জিন কে আমার ইবাদাত ব্যাতিত অন্য কোন উদ্দেশে সৃষ্টি করিনি।
(সুরা আল যারিয়াতঃ ৫৬)
সুতরাং প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উচিত সুস্থতা ও অবসরের সময়গুলোকে কদর করা রবের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ইবাদতে কঠোর মনোনিবেশ করা।
____
.
.
শেষ করবো প্রিয় নাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি হাদিস দিয়ে, তিনি বলেছেনঃ তোমরা পাঁচটি অবস্থায় পতিত হওয়ার পূর্বে পাঁচটি জিনিসকে মূল্যায়ন কর।
(১) বৃদ্ধ হওয়ার পূর্বে যৌবনকে
(২) রোগ আক্রমণ করার পূর্বে সুস্থতাকে
(৩) কর্মব্যস্ততার পূর্বে অবসর সময়কে
(৪) মৃত্যু আসার পূর্বে জীবনকে
(৫) দরিদ্রতার পূর্বে সচ্ছলতাকে।
[ মুসতাদরাক হাকিম, হা/৭৯১৬ ]
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন