রবিবার, ২৫ জুলাই, ২০২১

প্রশ্ন::জান্নাতিদের প্রথম খাবার কি হবে?




রশ্ন::জান্নাতিদের প্রথম খাবার কি হবে?

।।

।।

#উত্তর:: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করল,

“জান্নাতীরা জান্নাতে প্রবেশ করার

পর সর্ব প্রথম তাদেরকে কী খাবার পরিবেশন করা হবে?”

।।

।।

রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “মাছের কলিজা”। ইহুদী জিজ্ঞেস করল, “এর পর কী পরিবেশন করা হবে?”

।।

।।

রাসূলুল্লাহ সল্লল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “এরপর জান্নাতীদের জন্য জান্নাতে পালিত গরুর গোশত পরিবেশন করা হবে”।

।।

।।

এরপর ইহুদী জিজ্ঞেস করল, “খাওয়ার পর পানীয় কী কী পরিবেশন করা হবে?” রাসূলুল্লাহ সল্লল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “

।।

।।

সালসাবীল নামক ঝর্ণার পানি”। ইহুদী পাদ্রী বলল, “তুমি সত্য বলেছ…

।।

(সহীহ মুসলিম- কিতাবুল হায়েজ)


#নিয়ামত_শুরুপ


অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা অগ্রণী হও তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমা ও জান্নাত লাভের প্রয়াসে, যা প্রশস্ত আকাশ ও পৃথিবীর মতো; যা প্রস্তুত করা হয়েছে তাদের জন্য, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলদের প্রতি ঈমান এনেছে। এটা আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে তা দান করেন। আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল।’ (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ২১)

নানা ধরনের ফল : জান্নাতিদের খাবারদাবারে থাকবে বিভিন্ন পদ ও প্রকার। তাদের পান করতে দেওয়া হবে সুপেয় পানীয় ও শরবত। কোরআনে জান্নাতিদের খাবারদাবারের সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আমি তাদের দেব ফলমূল এবং মাংস, যা তারা চাইবে।    (সুরা : তুর, আয়াত : ২১)


তিনি আরো বলেন, ‘সেখানে আছে ফলফলাদি, খেজুর ও আনার।’  (সুরা : আর রহমান, আয়াত : ৬৮)


সুপেয় পানীয় : যেসব সৌভাগ্যবান মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে, দয়াময় আল্লাহ তাদের খাঁটি মধু, দুধ ও শরাবের নহর থেকে পান করার সৌভাগ্য দান করবেন। আল্লাহ বলেন, ‘মুত্তাকিদের (আল্লাহভীরু) যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তার দৃষ্টান্ত হলো : তাতে আছে নির্মল পানির নহর, আছে দুধের নহর, যার স্বাদ অপরিবর্তনীয়, আছে পানকারীদের জন্য সুস্বাদু সুরার নহর, আছে পরিশোধিত মধুর নহর এবং সেখানে তাদের জন্য থাকবে বিবিধ ফলফলাদি। আর তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে ক্ষমা। (সুরা : মুহাম্মাদ, আয়াত : ১৫)

নেশামুক্ত মদ : প্রশ্ন হতে পারে, মদ ও শরাব তো নাপাক ও ময়লাযুক্ত; এসব অরুচিকর পানীয় জান্নাতিদের কেন দেওয়া হবে? উত্তর হলো, পৃথিবীর যেকোনো কিছুই মান ও গুণের দিক থেকে জান্নাতি কোনো বস্তুর সমান নয়; বরং জান্নাতের সব কিছুই সব ধরনের ত্রুটিমুক্ত। জান্নাত ও জান্নাতের নিয়ামতগুলো মানুষের কল্পনাতীত। কোরআনে এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরিবেশন করা হবে বিশুদ্ধ সুরাপূর্ণ পাত্রে, শুভ্র উজ্জ্বল, যা হবে পানকারীদের জন্য সুস্বাদু, তাতে ক্ষতিকর কিছু থাকবে না এবং তারা মাতালও হবে না।’ (সুরা : আস-সাফফাত, আয়াত : ৪৫-৪৭)


প্রথমে দেওয়া হবে মাছের কলিজা : এক ইহুদি পাদ্রি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করল, জান্নাতিদের প্রথমে কী খাবার দেওয়া হবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, জান্নাতিদের মাছের কলিজার পাশে যে মাংস থাকে তা পরিবেশন করা হবে। ইহুদি আবারও জিজ্ঞেস করল, এরপর কী পরিবেশন করা হবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, এরপর জান্নাতিদের জন্য জান্নাতে পালিত গরুর গোশত পরিবেশন করা হবে। ইহুদি এবার বলল, খাওয়ার পর পানীয় হিসেবে কী কী পরিবেশন করা হবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) এবার বলেন, সালসাবিল নামক ঝরনার পানি পরিবেশন করা হবে জান্নাতিদের। (সহিহ মুসলিম)


হে আল্লাহ আমাদের সবাইকে জান্নাতি মেহমান হিসাবে কবুল করে নিন,,আমিন

 

 

 

 



কোন মন্তব্য নেই: