ঘুমানোর পূর্বে রাসূল (সাঃ) যে আমলগুলো করতেনঃ
🔘আয়াতুল কুরসীঃ
✅ যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পড়বে এতে আল্লাহর তরফ হতে তার জন্য একজন ফেরেশতা নিযুক্ত থাকবে এবং ভোর পর্যন্ত তার নিকট কোন অনিষ্ট আসতে পারবে না।
[বুখারী (তাও) ২৩১১, (ইফা) ২১৬২]
🔘সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতঃ
✅ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত তেলাওয়াত করবে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে ”।
[বুখারী (তাও) ৪০০৮, (ইফা) ৩৭১৮]
🔘সূরা মুলকঃ
✅রাসূল (সাঃ) বলেন : “যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবারকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক (সুরাহ মূলক) পাঠ করবে এর মাধ্যমে মহিয়ান আল্লাহ্ তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন৷
[তিরমিজী ২৮৯০, শাইখ আলবানি (রঃ) হাদিস টাকে হাসান সহিহ বলেছেন]
🔘সূরা কাফিরুনঃ
✅ নবী (সাঃ) রাতে সূরা কা-ফিরুন পাঠ করতেন।
[আবু দাউদ ৫০৫৫, (ইফা) ৪৯৭১, তিরমিজী ৩৪০৩]
🔘সূরা ইখলাস,সূরা ফালাক,সূরা নাসঃ
✅ আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, প্রতি রাতে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিছানায় যাওয়ার প্রাক্কালে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করে দু’হাত একত্র করে হাতে ফুঁক দিয়ে যতদূর সম্ভব সমস্ত শরীরে হাত বুলাতেন। মাথা ও মুখ থেকে আরম্ভ করে তাঁর দেহের সম্মুখ ভাগের উপর হাত বুলাতেন এবং তিনবার এরূপ করতেন।
[বুখারী (তাও) ৫০১৭, ৫৭৪৮, ৬৩১৯, (ইফা) ৪৬৪৮]
🔘খাদেম অপেক্ষা উত্তম আমলনঃ
✅ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আলী এবং ফাতেমা (রাঃ)- কে বলেন : আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু বলে দিবো না যা তোমাদের জন্য খাদেম অপেক্ষাও উত্তম হবে! যখন তোমরা তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তোমরা ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, এবং ৩৪ বার আল্লা-হু আকবার বলবে, তা খাদেম অপেক্ষাও তোমাদের জন্য উত্তম হবে’’।
[বুখারী (তাও) ৬৩১৮, ৩১১৩ (ইফা) ৪৯৭০, ৩৪৪০]
🔘ঘুমানোর দোয়াঃ
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন তাঁর ডান হাত তাঁর গালের নীচে রাখতেন, তারপর এ দোয়া পড়বেঃ
(আল্লাহুম্মা বিস্মিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া)।
[বুখারী (তাও) ৬৩১৪, ৬৩১২, (ইফা) ৫৭৬২]

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন