শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১

নারীরা বড্ড কোমল হয়

 

 


 নারীরা বড্ড কোমল হয়। নারী আর পুরুষের বুদ্ধিও সেইম না। তাই নারীরা ধোঁকায়ও বেশি পড়ে। এছাড়া হাদিসে তো আছেই দজ্জালের বাহিনীর অধিকাংশ হবে নারী। নারীরা দলে দলে দজ্জালের বাহিনীতে যোগ দেবে। দজ্জাল নারীদের ধোঁকা দিয়ে তার দলে ভিড়িয়ে নিবে।


বর্তমানে আবার ভালোবাসার বিষয়েও নারীরা ধোঁকায় পড়ে বেশি। (হারাম/বেদ্বীন এদের কথা বাদ দিলাম, আমরা দ্বীনদার এদের নিয়ে ভাবি) নতুন দ্বীন বুঝতে পারা বোনরা আমাদের মতো পেইজের বদৌলতে বিয়ের পথে আলহামদুলিল্লাহ অগ্রসর হয়। কিন্তু এখানে অধিকাংশ ডুবে যায় ফ্যান্টাসিতে। অনলাইনে দ্বীনি ভাইদের পোস্ট পড়ে পড়ে এদের মতো দ্বীনদার সঙ্গির স্বপ্ন দেখে। আবার কোনো কোনো ভাইকে নিয়ে ফ্যান্টিসিও দেখা শুরু করে দেয়।


কারো দ্বীনদারিতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে সঙ্গি বানানোর ইচ্ছা পোষণ করা খারাপ নয়, তবে অনলাইনের পোস্ট দিয়ে কারো দ্বীনদারিতা মাপা অন্যায়। কারণ কেউই অনলাইন আর অফলাইনে সেইম থাকে না। অনলাইনে কেউ দিনে তিনটা চারটা ইসলামিক পোস্ট দিচ্ছে, গিয়ে দেখুন অফলাইনে হয়তো সে তিন চার ওয়াক্ত নামাজও ঠিক মতো পড়ছে না। আমি অনেককে জানি যারা ফেইসবুকে অনেক দ্বীনি পোস্ট করে, কিন্তু বাস্তবে তাদের পোস্টেরই ঠিক বিপরীত কাজ গুলো করে। 


বোনদের কাউকে ভালো লেগে বিয়ের প্রস্তাব দেয়াকে খারাপ কিছু বলা যাবে না, তবে খারাপ হলো এই প্রস্তাব দেয়ার আগে বা পরে অনর্গল কথা বলতে থাকা। এটা যারা করে তাদের কাজকে হারাম প্রেমের শুরুর সাথে মেলানো যায়। হারাম প্রেমগুলোও ঠিক এভাবেই শুরু হয়।


রিসেন্ট একটা ঘটনায় দেখা গেলো এক দ্বীনি লেবাসে ভন্ড কীভাবে এক বোনকে ধোঁকায় ফেলে মাসের মাসের পর মাস তার সাথে প্রেম করেছে। সবাই সেখানে ভন্ডটার দোষ দিচ্ছে, কিন্তু এখানে মেয়েটারও দোষ আছে। সে কেনো এতদিন যাবত ছেলেটার সাথে কথা বলতে থাকলো। কথা না বলে কি তাকে বাসায় আসার জন্য দাওয়াত দিতে পারতো না। যে পরিবার নিয়ে আসুন এরপর আলোচনা হবে ইনশা'আল্লাহ। কিন্তু সে তা করেনি, কেনো করেনি? কারণ সে ফ্যান্টাসিতে ডুবে ছিলো। ছেলেটার দ্বীনদারিতার ফ্যান্টাসিতে ডুবে গিয়েছিলো।


তাই বোনদের উচিত এসব ফ্যান্টাসি থেকে বের হওয়া। সহজেই দাজ্জালের ফাঁদে পা না দেওয়া। ফেইসবুকিয় দ্বীনদারির মায়ায় না পড়া। বাস্তব জীবনে সঠিক জীবনসঙ্গীর তালাশ করা। বাস্তবে যে কেউ ধোঁকা খাবেনা তা নয়, কিন্তু অনলাইনের থেকে অনেক অনেক কম খাবে।


অবশেষে বলবো - বিয়ে করুন। সঠিক বাস্তব দ্বীনদার সঙ্গি খুঁজুন। সমাজটা দ্বীনের ফুল দিয়ে ভরিয়ে দিন। যার সুভাসে দূর হয়ে যাবে সব পঁচা দুর্গন্ধ। সুভাসিত হবে সমাজ।

বিয়ে : অর্ধেক দ্বীন

 

 

কোন মন্তব্য নেই: