শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আমাদের জিহ্বা দিয়ে ১৯ টি মারাত্বক পাপ সংঘিত হতে পারে !!

 






আমাদের জিহ্বা দিয়ে ১৯ টি মারাত্বক পাপ সংঘিত হতে পারে !! 




আমাদের জিহ্বা দিয়ে ১৯ টি মারাত্বক পাপ সংঘিত হতে পারে !! সেগুলো হচ্ছে নিম্নোরূপঃ--- ১) কারও নাম খারাপ করে ডাকা / নাম ব্যাঙ্গ করা। ২) খারাপ ঠাট্টা বা বিদ্রূপ করা। ৩) অশ্লীল ও খারাপ কথা বলা। ৪) কাউকে গালি দেয়া। ৫) কারও নিন্দা করা। ৬) অপবাদ দেয়া। ৭) চোগলখুরী করা। ৮) বিনা প্রয়োজনে গোপনীয়তা ফাঁস করে দেয়া। ৯) মোনাফিকী করা ও দুই মুখে (দ্বিমুখী) কথা বলা। ১০) বেহুদা ও অতিরিক্ত কথা বলা। ১১) বাতিল ও হারাম জিনিস নিয়ে আলোচনা করে আনন্দ লাভ করা। ১২) কারও গীবত করা। ১৩) খারাপ উপনামে ডাকা। ১৪) কাউকে অভিশাপ দেয়া। ১৫) কাউকে সামনা-সামনি বা সম্মুখে প্রশংসা করা। ১৬) মিথ্যা স্বপ্ন বলা। ১৭) অনর্থক চিৎকার বা চেঁচামিচি করা। ১৮) জীহ্বা দিয়ে হারাম বস্তুর স্বাদ নেয়া, গ্রহন করা বা খাওয়া। ১৯) জীহ্বা দিয়ে খরাপ অর্থে কাউকে কোন ভঙ্গি করা বা দেখানো। পরিশেষে বলব, আমরা যেন নিম্নোক্ত হাদিসটির উপর আমল করতে উদ্যোগী হই- ★সাহাল ইবনে সায়াদ (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ (স:) বলেছেন, "যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী অঙ্গ ( জিহ্বা ) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী অঙ্গ ( লজ্জাস্থান ) হেফাজতের নিশ্চয়তা দেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব।" [ বুখারী শরীফ- ৬৪৭৪ ] মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে মুখ তথা জিহ্বাকে হেফাজত করার তৌফিক দান করুন..












[]- নফসকে নিয়ন্ত্রণে

রাখার ১৫ টি কৌশল
১. ফজরের পরে না ঘুমানোর অভ্যাস করুন। প্রয়োজনে কাইলুলা (দুপুরের হালকা ঘুম) করা যাবে।
২. দিনে ম্যক্সিমাম তিনবার খাবার অভ্যাস করুন। সকাল, দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝখানে হাবিজাবি খাবার- যেমন ফাস্টফুড, স্ট্রিটফুড খাওয়া যাবে না। ক্ষুধা লাগলে খেজুর, আপেল এগুলো খাওয়া যায়।
৩. প্রতিবেলা খাবার সময় যেটুকু খাবার যথেষ্ট বলে মনে হবে তার থেকে একটু কম খাবেন।
৪. অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন মন্তব্য করার আগে একবার চিন্তা করুন এই কথাটা আপনি না বললে কি কোন লস আছে? বলা কি আবশ্যক? উত্তর না হলে; ওই কথা বলার দরকার নাই।
৫. সকাল সন্ধ্যার জিকির-আযকার পাঠ করুন।
৬. ইশরাকের সালাত আদায়ের অভ্যাস করুন।
৭. প্রতিদিন নিয়মত কুরআন পড়ার অভ্যাস করুন। হতে পারে ১ রুকু থেকে ১ পারা - যেকোন পরিমাণ।
৮. ঘুমের পরিমাণ কমাতে হবে।
৯. ফজরের পরে কিছুক্ষণ ব্যায়ামের অভ্যাস করুন। আর কিছু না পারলে ১৫-২০ মিনিট জগিং করে এসে গোসল করে ইশরাকের সালাত পড়ার অভ্যাস করা।
১০. দৃষ্টি অবনত রাখুন। না পারলে ওইসব জায়গা এড়িয়ে চলার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।
১১. ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার (সোশ্যাল মিডিয়া) কম ব্যবহার করা।
১২. প্রতিদিন হিফজের একটা টার্গেট নেয়া। এটা প্রতিদিন এক আয়াতও হতে পারে৷ কিন্তু টার্গেট পুরা করতে হবে। এটা খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ।
১৩. বিশেষকরে রাতে ভরপেট খাওয়া পরিহার করতে হবে৷
১৪. রাতে ঘুমানোর পূর্বে অযু করে দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করে নিন এবং ঘুম না আসা পর্যন্ত আসতাগফিরুল্লাহ পড়তে থাকুন।
১৫. নিয়মিত তাহাজ্জুদের সালাত আদায়ের অভ্যাস করুন। ইনশাআল্লাহ, রাব্বে কারিম আপনার অন্তরকে প্রশান্ত করে দিবেন।
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা লেখার প্রতিটি কথার উপর প্রথমে আমাকে ও আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুক। আমিন🤲🌸🤍











কোন মন্তব্য নেই: