মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

তারাতারি বিয়ে করুন

 







➡️ তারাতারি বিয়ে করুন। 


⭕স্ত্রী গ্লাসের যে স্থানে ঠোঠ রেখে পানি পান করে সেই স্থানে ঠোঠ রেখে পানি পান করা সুন্নাত। (মুসলিমঃ৫৭৯)

⭕স্ত্রীর সাথে চুল আঁচড়ে নেয়া সুন্নাত। আয়েশা রাঃ রাসূল সাঃ এর চুল আঁচড়ে দিতেন (বুখারীঃ২৯৫, মুসলিমঃ৫৭১)

⭕স্ত্রীর সাথে একই সাথে গোসল করা সুন্নাত। আয়েশা রাঃ এর সাথে এবং কখনো মাইমুনা রাঃ এর সাথে রাসূল সাঃ পবিত্রতার গোসল করতেন (মুসলিমঃ৬২০, নাসাঈঃ৩৮০)


⭕স্ত্রীর ব্যাবহার করা মেসওয়াক দিয়ে মেসওয়াক করা সুন্নাত। রাসূল সাঃ যখন মৃত্যু সজ্জায়, তখন রাসূল সাঃ আয়েশা রাঃ এর কোলে শুয়ে ছিলেন এবং রাসূল সাঃ বার বার মেসওয়াকের দিকে তাকাচ্ছিলেন, কিন্তু রাসূল সাঃ এতোটাই অসুস্থ ছিলেন যে মেসওয়াক চিবাতে পারবেন না, তাই আয়েশা রাঃ মেসওয়াক চিবিয়ে দেন এবং রাসূল সাঃ ঐ মেসওয়াক দিয়ে মেসওয়াক করেন।  (বুখারীঃ৫২২৬) 


⭕স্ত্রীর প্রশংসা করা সুন্নাত। রাসূল সাঃ আয়েশা রাঃ সবার সেরা, এবং খাদিজা আঃ এর ভালোবাসার প্রশংসা করতেন(বুখারীঃ৫২২৯, ৩৪১১)


⭕স্ত্রীর সাথে খেলায় প্রতিযোগিতা করা সুন্নাত। রাসূল সাঃ এবং আয়েশা রাঃ রাত্রীতে সবাই ঘুমোলে দৌড় প্রতিযোগিতা করতেন। (ইবনে মাজাহঃ১৯৭৯,আবু দাঊদঃ২৫৭৮)


⭕স্ত্রীর মুখের খাবার খাওয়া সুন্নাত। আয়েশা রাঃ হাড় যুক্ত গোশত খাওয়ার পর রাসূল সাঃ আয়েশা রাঃ এর খাওয়া হাড় চুষে খেতেন।(মুসলিমঃ৫৭৯)


⭕ স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া বা সফরে যাওয়া সুন্নাত। স্ত্রীদের সফরে নিয়ে যেতে রাসূল সাঃ লটারী করতেন, যার নাম আসতো তাকে নিয়ে ঘুরতে যেতেন। (বুখারীঃ২৫৯৩)


⭕শাওয়াল মাসে বিবাহ করা সুন্নাত। (তিরমিযিঃ১০৯৩)


⭕স্ত্রীকে সুন্দর নামে ডাকা সুন্নাত। (রাসূল সাঃ আয়েশা রাঃ কে হূমায়রা বলে ডাকতেন)


⭕স্ত্রী কে কখনো মারধর না করা সুন্নাত। রাসূল সাঃ কখনো কারো উপর প্রতিশোধ নিতেন না, এবং স্ত্রীদের ও মার ধর করতেন না। (বুখারীঃ৫২০৪, বুখারীঃ ৬১২৬)


⭕স্ত্রীর কোলে মাথা রেখে কোরআন তেলাওয়াত করা সুন্নাত। (বুখারীঃ২৯৭)


⭕স্ত্রীর কাজকর্মে সহযোগিতা করা সুন্নাত। (বুখারীঃ ৬৭৬)


⭕ স্ত্রীর মুখে খাবারের লোকমা তুলে দেয়া সুন্নাত। এবং রাঃ বলেন স্ত্রীকে খাবার খাইয়ে দিলে তা সদকা হিসেবে কবুল হয়, এবং তার প্রতিদান রয়েছে। (আবু দাঊদঃ২৮৬৪)


⭕স্ত্রীর রাগ অভিমান এবং মন বোঝার চেষ্টা করা সুন্নাত। রাসূল সাঃ বলেন আয়েশা তুমি আমার উপর রেগে থাকলে আমি বুঝতে পারি, আয়েশা রাঃ বলেন হে আল্লাহর রাসূল কিভাবে বোঝেন আপনি? রাসূল সাঃ বলেন তুমি যখন আমার উপর রেগে থাকো তখন বলো "হে ঈবরাহিম আঃ এর প্রভু" আল্লাহ কে এভাবে ডাকো, আর যখন খোশ মেজাজে থাকো তখন বলো, ("হে মুহাম্মদ সাঃ এর প্রভু" আল্লাহ কে এভাবে ডাকো।

(বুখারীঃ৫২২৮)


রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন,

ﺧَﻴْﺮُ ﺍﻷَﺻْﺤَﺎﺏِ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺧَﻴْﺮُﻫُﻢْ ﻟِﺼَﺎﺣِﺒِﻪِ ﻭَﺧَﻴْﺮُ ﺍﻟْﺠِﻴﺮَﺍﻥِ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺧَﻴْﺮُﻫُﻢْ ﻟِﺠَﺎﺭِﻩِ

‘আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম সঙ্গী সে, যে তার সঙ্গীর কাছে উত্তম। আর আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম প্রতিবেশী সে, যে তার প্রতিবেশীর কাছে উত্তম।’

(তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ১৯৪৪)


সুবহানাল্লহ, আল্লাহ তাআলা সকলকে রাসূল সাঃ এর সুন্নাত গুলো পালন করার তাওফিক দান করুন।





..............আলাদা 


অনর্থক যে গুনাহ গুলো থেকে  মহান রব্বুল আলামীন আল্লাহ যেভাবে কুরআনে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন


সূরা বাকারা আয়াত ১১

 

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ قَالُوا إِنَّمَا نَحْنُ مُصْلِحُونَ 

আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে,তোমরা দুনিয়ার জমিনে ফাসাদ  সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি।

সূরা বাকারাহ আয়াতঃ২২

الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الۡاَرۡضَ فِرَاشًا وَّ السَّمَآءَ بِنَآءً ۪ وَّ اَنۡزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَاَخۡرَجَ بِهٖ مِنَ الثَّمَرٰتِ رِزۡقًا لَّکُمۡ ۚ فَلَا تَجۡعَلُوۡا لِلّٰهِ اَنۡدَادًا وَّ اَنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ 

যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে বিছানা ও আকাশকে ছাদ করেছেন এবং আকাশ হতে পানি বর্ষণ ক’রে তদ্বারা তোমাদের জীবিকার জন্য ফলমূল উৎপাদন করেন, কাজেই জেনে বুঝে কাউকেও আল্লাহর সমকক্ষ দাঁড় করো না।

সূরা হুজরাত আয়াতঃ ১১

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا يَسْخَرْ قَوْمٌ مِنْ قَوْمٍ عَسَىٰ أَنْ يَكُونُوا خَيْرًا مِنْهُمْ وَلَا نِسَاءٌ مِنْ نِسَاءٍ عَسَىٰ أَنْ يَكُنَّ خَيْرًا مِنْهُنَّ ۖ وَلَا تَلْمِزُوا أَنْفُسَكُمْ وَلَا تَنَابَزُوا بِالْأَلْقَابِ ۖ بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوقُ بَعْدَ الْإِيمَانِ ۚ وَمَنْ لَمْ يَتُبْ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ


আয়াত-১১ অর্থ : মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম।

সূরা হুমাযাহ আয়াতঃ১

وَيْلٌ لِكُلِّ هُمَزَةٍ لُمَزَةٍ

আয়াত-১ অর্থ : দুর্ভোগ  প্রত্যেকের  যে সামনে নিন্দাকারী    ও পিছনে গীবতকারী

সূরা আল-কলম '' আয়াতঃ১০-১৪

وَلَا تُطِعْ كُلَّ حَلَّافٍ مَهِينٍ


আয়াত-১০ অর্থ : যে অধিক শপথ করে, যে লাঞ্ছিত, আপনি তার আনুগত্য করবেন না।


هَمَّازٍ مَشَّاءٍ بِنَمِيمٍ


আয়াত-১১ অর্থ : যে পশ্চাতে নিন্দা করে একের কথা অপরের নিকট লাগিয়ে ফিরে।


আয়াত-১২ অর্থ : যে ভাল কাজে বাধা দেয়, সে সীমালংঘন করে, সে পাপিষ্ঠ,


عُتُلٍّ بَعْدَ ذَٰلِكَ زَنِيمٍ


আয়াত-১৩ অর্থ : কঠোর স্বভাব, তদুপরি কুখ্যাত;


أَنْ كَانَ ذَا مَالٍ وَبَنِينَ


আয়াত-১৪ অর্থ : এ কারণে যে, সে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততির অধিকারী।

সূরা হুজরাত '' আয়াতঃ০৬


يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَنْ تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَىٰ مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ


আয়াত-৬ অর্থ : মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও।

সূরা বাকারা '' আয়াতঃ৪২

 وَ لَا تَلۡبِسُوا الۡحَقَّ بِالۡبَاطِلِ وَ تَکۡتُمُوا الۡحَقَّ وَ اَنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ 

তোমরা সত্যকে মিথ্যের সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন করো না।






কোন মন্তব্য নেই: